দলগত লক্ষ্যমাত্রা নমুনা ধারাবাহিকতা

দলগত লক্ষ্যমাত্রা. কতিপয় ক্ষেত্রে কোন কোন মন্ত্রণালয়ের কর্মসম্পাদনের সফলতা সরকারের অন্য এক বা একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মসম্পাদনের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল। সেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য কতিপয় ক্ষেত্রে এ সকল মন্ত্রণালয়কে দল হিসাবে কাজ করতে হয়; একক কোন প্রতিষ্ঠান হিসাবে নয়। কাজেই, এ সকল মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ক্ষেত্রে একই দলগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি সরকার ১২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সেক্ষেত্রে একাধিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রত্যক্ষ সহায়তার প্রয়োজন হবে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দলগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে। দলগত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়নের সময় দলগতভাবে নির্ধারিত মান অর্জনে অসমর্থ হবে। বিষয়টি বিশদভাবে বর্ণনার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যায়। ধরা যাক, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি দুই ধরনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গঠিত। একটি কয়লা উৎপাদন এবং অন্যটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দলগত লক্ষ্যমাত্রা সংক্রান্ত। ধরা যাক, তাদের একক ও দলগত লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৫% এবং ২% নির্ধারণ করা হল। যদি ১২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হয় কিন্তু কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়, সেক্ষেত্রেও জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ২% মান অর্জনে অসমর্থ হবে। অতএব, যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের জন্য দলগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তারা যৌথভাবে দায়ী থাকবে। ক্রিকেটের উদাহরণ থেকে বলা যায়, যদি কোন খেলোয়াড় দ্বিশতক (double century) করার পর দল হারে, সেক্ষেত্রেও সান্ত্বনার কিছু থাকে না। ২.৬