স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজনসহ ১০০ জিবি মোবাইল ডাটা বিজয়ী ১০০ জনের ছবিযুক্ত নামের তালিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইট https://mujib100.gov.bd অথবা https://quiz.priyo.com থেকে জানা যাবে।
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৫৫
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ-কোরিয়ান ইপিজেড ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
চট্টগ্রাম, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এবং কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেড মিলনায়তনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক xxxxx xxx xxxx, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক xxxx xxxxx, কোরিয়ান ইপিজেড এর পক্ষে চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সাং উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী xxxxxx xxxxx xxx। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত xx xxx xxxx, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
সমঝোতার আওতায়, কোরিয়ান ইপিজেডের প্রায় ১০০ একর জায়গায় প্রস্তাবিত হাই-টেক পার্ককে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বেসরকারি হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও বিনিয়োগে নীতিগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি যৌথভাবে কাজ করবে। কোরিয়ান ইপিজেড-এ বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ স্পেশালাইজড ল্যাব স্থাপনে সহায়তা করবে । একই সাথে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী xxxxxx xxxxx পলক কোরিয়ান ইপিজেড এর আইটি জোনকে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করে বলেন এর মাধ্যমে দেশের আইটি সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন এ হাইটেক পার্ক দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম চাকুরি খোঁজার পরিবর্তে চাকুরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনযোগী হোক। এছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে উদ্যোক্তা এবং স্টার্ট-আপদের জন্য স্কেল-আপ প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, কোচিং ও মেন্টরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবিলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে xxx xxxxx আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বন্দর নগরী ও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম আইটি নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxx ১৯৯৯ সালে চট্রগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২৫০০ হাজার একর জমি বরাদ্দ প্রদান করেন। বর্তমানে কেইপিজেড এ ২৫০০০ এর বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেড-কে বেসরকারি হাই-টেক পার্ক ঘোষণা করায় এখানে বিনিয়োগ ও ২০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী কেইপিজেড এর বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন।
#
শহিদুল/অনসূয়া/জসীম/খোরশেদ/২০২১/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৪
‘বঙ্গবন্ধু xxx xxxxx কুইজ’ প্রতিযোগিতা
গতকালের বিজয়ীদের তালিকা
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxxxx জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত গতকালের অনলাইনভিত্তিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজন হলেন : দিনাজপুরের শ্রাবণী xxxx রায়, রাজশাহীর মো. xxxxxx xx, ঢাকার শাহানা xxxxx xxxx, রংপুরের জাহিন শাহরিয়ার ও চুয়াডাঙ্গার মো. xxxxxx xxxxx।
গতকালের কুইজে ৭১ হাজার ৩৫৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
স্মার্টফোন
বিজয়ী পাঁচজনসহ ১০০ জিবি
মোবাইল ডাটা বিজয়ী ১০০ জনের
ছবিযুক্ত নামের তালিকা
জাতির
পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx
xxxxxxx জন্মশতবার্ষিকী
উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন
কমিটির
ওয়েবসাইট xxxxx://xxxxx000.xxx.xx অথবা xxxxx://xxxx.xxxxx.xxx থেকে
জানা যাবে।
#
মোহসিন/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫৩
৫৭ লাখ কৃষকের মাঝে ৩৭২ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি) :
চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭ লাখ কৃষকের মাঝে ৩৭২ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মোট জমির পরিমাণ ২৩ লক্ষ ৬৪ হাজার বিঘা।
মহামারি করোনা মোকাবিলা ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় রয়েছে বীজ, চারা, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনবার্সন সহায়তা খাতের বরাদ্দ হতে এ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়।
৩৭২ কোটি টাকার মধ্যে করোনা ও বন্যায় ক্ষতি পোষাতে দেয়া হয়েছে ১১২ কোটি টাকার প্রণোদনা। রবি মৌসুমে মাসকলাই, মুগ, সূর্যমুখী, সরিষা, ভুট্টা প্রভৃতি উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেয়া হয়েছে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনা। এছাড়া, বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ ১৩৬ কোটি টাকা, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২৫ কোটি টাকা ও ৬১ জেলায় হাইব্রিড বোরো ধান চাষের জন্য ৯ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে।
#
কামরুল/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫২
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
অটোয়া (কানাডা) ২২ ফেব্রুয়ারি :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হয়। দিবসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হাউজে সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং একই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরিশেষে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সকল ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। একই সাথে, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxx ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমহানি মা বোনদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি xxxx xxxxxx ও ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের অন্যতম সদস্য ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আবদুস সালাম বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ ও টেরিটোরির প্রবাসী বাংলাদেশি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
সভাপতির ভাষণে হাইকমিশনার বলেন, এ বছরের শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষভাবে তাৎপর্যপুর্ণ। এ বছরই জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxxxx জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা উদ্যাপন করছি। xxxxxxxxxx বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষায় তথা বাঙালি জাতিকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনে xxxxxxxxxx অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তা ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ঐতিহাসিক দলিলে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো কালে কালে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। এতদঞ্চলের শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের স্বার্থসুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি অর্জনের পিছনে রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। xxxxxxxxx রাজবন্দী হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকাকালে রাতের অন্ধকারে সর্বদলীয় ভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারা তাঁর সাথে দেখা করেন এবং এ সময় xxxxxxxxx একুশে ফেব্রুয়ারিকে ভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত দেন।
তিনি সকলকে অবহিত করেন যে, হাইকমিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাভাষা ও বাংলা সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে কাজ করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি কানাডায় অবস্থিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও শিল্পীবৃন্দের এ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পরে একটি ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, কানাডা, চীন, ভারত, শ্রীলংকা ও ফ্রান্সের শিল্পীগণ নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষায় গান, নাচ ও কবিতা পাঠ করেন। বিভিন্ন দেশের ও ভাষার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার যে মূল লক্ষ্য অর্থাৎ সকল ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান ও লালন করার বিষয়টি উঠে আসে।
#
দেওয়ান/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৩৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৫১
বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস ও ইউনেস্কোতে মহান শহিদ দিবস ও
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০২১ উদ্যাপন
প্যারিস, ২২ ফেব্রুয়ারি :
প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দূতাবাসের অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অস্থায়ী শহিদ মিনারের পাদদেশে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালক Xxxxxx Xxxxxxx প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়।
ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অবদানের কথা উল্লেখ করেন এবং একইসাথে মাতৃভাষা ও বহুভাষার প্রসারে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি xxxxxxxxxxx বাংলাদেশের ‘Independence Hero’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলা ও বাঙালি জাতিসত্তার স্বীকৃতি অর্জনে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। xxxxxxxxxx জন্মশতবর্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
xxxxx xxxxx-১৯ অতিমারির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দূতাবাসের সকল সদস্য এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসীদের অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দূতাবাস অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজন করে। ফলে ফ্রান্সে বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুণীজন অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত xxxx xxxxxxx xxxxx তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxx ও ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি xxxxxxxxxx দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, xxxxxxxxx বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার হতে অনুপ্রাণিত করেছেন, উজ্জীবিত করেছেন, দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি ইউনেস্কো কর্তৃক এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণাকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিকীকরণ বলে অভিহিত করেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা নিশ্চিতকরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানের শেষার্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ইউনেস্কো-এর ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভাষা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক ভিন্নধর্মী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি বিশেষায়িত একটি ওয়েবসাইট (xxx.xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx.xx) ও দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হতে একইসাথে সম্প্রসারিত হয়। ভার্চুয়াল ভাষা প্রদর্শনীতে ২১টি দেশের ব্যানার, পোস্টার বহুভাষা ও সংস্কৃতির এক মিলনস্থলে পরিণত হয়।
এছাড়া ২০টি দেশের অংশগ্রহণে বিশ্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক আয়োজন সম্প্রচারিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও ইউনেস্কোর উপ-মহাপরিচালক (শিক্ষা) Xxxxxxxx Xxxxxxxx, ইউনেস্কো-এর ৬টি ইলেক্টোরাল গ্রুপের সভাপতিগণ পৃথক পৃথক বক্তব্য প্রদান করেন। ইউনেস্কোর উপ-মহাপরিচালক (শিক্ষা) তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাতৃভাষা তথা ভাষাতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যির বিশ্বময় প্রসারে বাংলাদেশ নেতৃত্বের ভূমিকায় আসীন। এছাড়া xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxxxx জন্মশতবার্ষিকীতে তিনি বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ে বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও নিরলস প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আয়োজনে ইউনেস্কো ঘোষিত প্রতিপাদ্য ‘Fostering Multilingualism for inclusion in education and society’ – কে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও কার্যকর বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, মা ও মাতৃভাষা যে কোনো ব্যক্তির নিজস্ব সত্তা তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
#
অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০২১/১৪৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী
নম্বর:
৮৫০
কোভিড-১৯ এর টিকা নিলেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
যশোর, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
xxxxxxx xxxxx, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী xxxxx xxxxxxxxxxxx কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা গ্রহণ করছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যে সংশয় ছিল তা ইতোমধ্যে কেটে গেছে। আশা করি সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা খুব শীঘ্রই করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।
xxx xxxxxxx দূরদর্শিতা ও সাহসী পদক্ষেপের ফলেই অনেক উন্নত দেশের আগেই আমরা করোনার টিকা পেয়েছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
হাবীব/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/মাসুম/২০২১/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৪৯
জর্দানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
জর্ডান, (২২ ফেব্রুয়ারি):
জর্দানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও ভার্চুয়াল কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
দিবসের প্রত্যূষে দূতাবাসে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও দূতাবাসে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় দূতাবাস নির্মিত একটি ছোট ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত সহ কূটনীতিকবৃন্দ, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, জর্ডানের স্থানীয় নাগরিক এবং জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, জর্দানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত xxxxxx xxxxxx সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxx ও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কোভিড মহামারির কারনে বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও জর্ডান, বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া সকল সন্মানিত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে xxxxxxxxxx নেতৃত্ব বাঙালি জাতীয় চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব একটি স্বাধীন জাতির ভিত রচনা করেছিল যা কয়েক দশকের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জর্ডানের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর xxxxx xxxxxxxx xx তুয়েসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী xxxxx xxxxx xxxxx এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী xx xx xxxxx। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জর্ডানের সংস্কৃতি মন্ত্রী ডক্টর xxxxx xxxxxxxx xx xxxxxx বলেন, বাঙালির ভাষার জন্য আত্মত্যাগ শুধু মাত্র তাদের নিজেদের ভাষাই নয় বরং সে সাথে বিশ্বের প্রতিটি ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার ফলে বাংলাদেশের ভাষা শহিদ দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি আরো বলেন, ভাষা বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং এটি মানুষের অতীত, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের সাথে সেতুবন্ধন ও যোগাযোগের মৌলিক মাধ্যম। ভাষা একটি জাতীর পরিচয় বহন করে। তাই বিশ্ব যত বেশি বহুভাষাভাষী সংখ্যা বজায় রাখতে পারবে ততই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে। তিনি বাংলাদেশ ও জর্দানের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় ভাষার শিল্প ও সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ উভয় ভাষায় অনুবাদ করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি এ দিবসকে আন্তর্জাতিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxxx ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একুশের গান “আমার ভাইয়ের রক্তে বাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”গানটি বাংলা ও আরবী ভাষায় পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এ ওয়েবিনারটি দূতাবাসের “মুজিব বর্ষ ওয়েবিনার” সিরিজের ৪র্থ ওয়েবিনার। এই ওয়েবিনারের পরে বিকালে জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
#
শেফায়েত/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/মাসুম/২০২১/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৮৪৮
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধুর কারাগার থেকে মুক্তি দিবস
স্মরণে ডাকটিকেট অবমুক্ত
ঢাকা, ৯ ফাল্গুন (২২ ফেব্রুয়ারি):
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxxxx মুক্তি দিবস ২২ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু মুক্তি লাভের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের এক ঐতিহাসিক xxxxx রচিত হয়।দিবসটি স্মরণে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী xxxxxxxx xxxxxx ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তার দফতরে দিবসটি উপলক্ষ্যে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি সিলমোহর ব্যবহার করেন।
মন্ত্রী xxxxxx xxxxxxxx xxxxxxx xxxxxxxxxx নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ২৩ বছরের ইতিহাসের একটি বিস্ময়কর ও গৌরবময় ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এই মামলাকে কেন্দ্র করেই ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের সৃষ্টি হয়। ঊনসত্তরের গণঅভূত্থানের রাজপথে ছাত্রলীগের লড়াকু সৈনিক xxxxxxxx xxxxxx বলেন, ১৯৬৮ সালের ২১ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেয়। ১৯ জুন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়। তিনি বলেন, xxxxxxxxxx মুক্তির দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ রাজপথে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেইসাথে জনসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ বিশাল শক্তি নিয়ে মানুষের মাঝে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটায়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মোস্তাফা xxxxxx বলেন, এই মামলার অভিযুক্ত প্রত্যেকের পরিবারকে সে সময় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxx প্রায় প্রতিদিনই তাঁর পিতার সাথে দেখা করতে যেতেন। একসময় xxx xxxxxxx সরকার প্যারলে মুক্তি দিতে চাইলে xxxxxxxxxx স্ত্রী xxxxxxxx xxxx xxxxxxxxxxxxx xxxxx xxx xxxxxxx মাধ্যমে xxx xxxxxxx খবর পাঠিয়ে মুক্তি নিতে বারণ করেন। গণঅভ্যূত্থানে xxxxxxxx xxxxx xxx ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন এবং এরই ধারাবাহিকতায় xxxxxxxxx ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে বন্দিত্ব থেকে মুক্তি লাভ করেন।
স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড সোমবার থেকে ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
#
শেফায়েত/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/মাসুম/২০২১/১১১৮ঘণ্টা
Handout Number: 847
Speakers at Washington Webinar calls for preserving linguistic diversity for human dignity
Washington, (21 February 2021):
Bangladesh Embassy in Washington, D.C. Sunday organized a Webinar marking the observance of the International Mother Language Day with the theme “Fostering Multilingualism in Education and Society.”
Bangladesh Ambassador to the U.S.A. X Xxxxxxxx Xxxxx made welcome remarks, saying 21st February is an important milestone in Bangladesh’s national history.
He said this year the day has assumed more significance, as Bangladesh celebrates the Birth Centenary of the Father of the Nation Xxxxxxxxxxx Xxxxxx Xxxxxxx Xxxxxx and the 50th Anniversary of her glorious independence.
The Ambassador said UNESCO’s proclamation recognizing February 21 as International Mother Language Day has added a new dimension of cultural-linguistic diversity as well as multilingualism to this historic day in a spirit of 'unity in diversity'.
UNESCO Director-General Xxxxxx Xxxxxxx said UNESCO has launched an initiative to translate more than 6,000 books in over 100 languages to enrich its world digital library which already offers free access to thousands of books, manuscripts, pictures and documents from across the world.
Xxxxxx Xxxxxxx said UNESCO will celebrate a decade of indigenous languages from 2022 through 2032. She appreciated the commitments to this effect made by Bangladesh, Brazil, Egypt, and Jordan.
She preservation and protection of linguistic diversity is essential for human dignity. Quoting English philosopher Xxxxx Xxxxxx, she said knowledge of languages is the doorstep to wisdom.
Director-General of International Mother Language Institute, Bangladesh Prof. Dr. XxxxxxXxxxxx Xxx delivered a keynote address.
Ambassador Xxxxxx Xxxxxxxx, Senior Official for Economic Growth, Energy, and the Environment and Acting Assistant Secretary, Bureau of Oceans and International Environmental and Scientific Affairs at the State Department, ShafiulAlam, former Cabinet Secretary and Alternate Executive Director, World Bank Group, and former U.S. Ambassador to Bangladesh Xxxxx X Xxxxxx participated in the panel and open discussion.
The hour-long Webinar was moderated by Minister and Deputy Chief of the Mission at Bangladesh Embassy Xxxxxxxx Xxxxxxxx.
#
Xxxxxx/Xxxxxxx/Xxxxxx/Masum/2021/1200 our
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮৪৬
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন
নিউইয়র্ক, (২২ ফেব্রুয়ারি ):
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গতকাল মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করা হয়। মিশনস্থ বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান একুশের ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অডিটোরিয়ামটিতে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং মহান একুশের ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্ব শুরু হয় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে। স্বাগত ভাষণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “শিক্ষায় এবং সমাজে বহুভাষার অন্তর্ভুক্তি সযত্নে লালন করি (Fostering multilingualism for inclusion in education and society)” উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে বহুভাষিকতাকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে”।
ভাষণের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা xxxxxxxxx xxx xxxxxxx xxxxxxx গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত xxxxxx বলেন, “১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, xxxxxxx xxxxx ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদই ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে থেকে ভাষা আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহিদগণ”।
ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই কিভাবে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে সে প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের জন্য কোভিড-১৯ এর টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxx যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন এবং চলমান টিকা প্রদান কর্মসূচিতে সরকার যে সফলতা দেখিয়েছে তা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, “বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxx জাতিসংঘে যে প্রস্তাবনা রেখেছেন তা বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’’।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা উজ্জ্বীবিত রাখতে পরিবার এবং কমিউনিটিতে বাংলার শুদ্ধ চর্চা অব্যাহত রাখতে প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। কোভিড-১৯ জনিত স্থানীয় বিধিনিষেধ অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করা হয়।
#
অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/মাসুম/২০২১/১১২৬ঘণ্টা