অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান এবং কর্মকৃতি বা Performance মূল্যায়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রতি বছর স্বাক্ষর করা হয়। এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০১৭-১৮,...
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৯৪
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন
দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন):
আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ পুরস্কার ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ xxxxx xxx।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান এবং কর্মকৃতি বা Performance মূল্যায়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রতি বছর স্বাক্ষর করা হয়। এপিএ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে। নতুন নতুন গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, ওয়ার্কওভার কূপ খনন, গ্যাস উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল আমদানি, গ্যাস ও তেল সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, আইন/বিধি/নীতিমালা প্রণয়ন ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এ বিভাগের কার্যক্রমের গতি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এপিএ’তে লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলেই দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পেট্রোবাংলা- প্রথম স্থান, জিএসবি- দ্বিতীয় স্থান এবং বিএমডি- তৃতীয় স্থান অর্জন করে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত হন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দপ্তর ও সংস্থা প্রধান হিসেবে অর্জন করে বিপিআই-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খেনচান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ০২-৯ম গ্রেড হতে যৌথভাবে য্গ্মুসচিব xxxxxxxx xxxxx xxxxx ও মোছাঃ মোর্শেদা ফেরদৌস, ১০-১৬ম গ্রেড হতে যৌথভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা xxxxx xxxxxx xxx ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক xxxx xxxxx এবং ১৭-২০তম গ্রেড হতে যৌথভাবে অফিস সহায়ক মোঃ xxxxxxx xx ও মোঃ শাহিনুর ইসলাম পুরস্কার অর্জন করেন।
#
আসলাম/xxxx/xxxx/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৯৩
বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগ : আগামীকাল থেকে জাতীয় অর্থ বছরের সঙ্গে সমন্বয়
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
১লা জুলাই থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে জাতীয় অর্থ বছরের ন্যায় ১লা জুলাই থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থবছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত। আশা করা যাচ্ছে, জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।
এ ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন xxxxxx xxxx গত ৮ জুন ২০২৪ তারিখে ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই নতুন পদ্ধতি আমাদের দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে। আসুন, আমরা সকলে মিলে এই নতুন যাত্রায় সফল হই। বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন করের আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে বলে আমরা মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxx ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। xxxxx xxxxx ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি সচিব মোঃ xxxxxx xxxxxxx তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার এপিএ স্বাক্ষর
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল বিপিএএ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক xxxx xxxxxx, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) xxxxxx xxx নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন xxxxx এনডিসি ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
নাহিয়ান/xxxx/xxxx/xxxxxx/শামীম/২০২৪/১৮৪৫ঘণ্টা
সবার কর্মফলের যোগফলই হবে মন্ত্রণালয়ের সুনাম
-প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মফলের যোগফলই হবে মন্ত্রণালয়ের সুনাম বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী xxxxxx xxxxx xxxxxx। তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর এবং এপিএ সম্মাননা ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে কর্মদক্ষতা ও কর্মতৎপরতা নিয়ে কাজ করতে হবে। সেবকের মানসিকতা নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিকরণের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রত্যেককে কর্মমুখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ xxxxx xxxxxx সাথে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ আগামি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক xxxxx xxxx xxxxxxx, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ xxxxxxx xxxxx, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. xxxxxx xxxxxx xxxxx-সহ মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
সৈকত/xxxx/xxxx/সঞ্জীব/xxxxx/২০২৪/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৯১
বাজেটে বিদেশনির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. xxxxx xxxxxx বলেছেন, উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন আমাদের দেশের উপযোগী বা পছন্দমতো না হলে অনেক বিদেশি ঋণপ্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই। প্রধানমন্ত্রী xxx xxxxxxx নেতৃত্বে সেই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। তবে দেশ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির নানাদিক বিবেচনায় কিছু বৈদেশিক ঋণ নিতে হয়।
আজ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ স্লোগান সংবলিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কতটুকু সে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একসময় বিএনপি'র আমলে বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে যেতে হতো। তাদের সময় বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। আজকে এটি ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এবং আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকের ঋণপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি, ফিরিয়ে দেই।
একইসাথে xxxxx xxxxxx বলেন, সামগ্রিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থে কিছু বৈদেশিক ঋণ নিতে হয়। যেমন আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পার্টনার। সেখানে আমাদের জন্য বরাদ্দ থাকে। সেটি না নিলে ল্যাপস হয়ে যায়, এজন্য ক্ষেত্রবিশেষে নিতেও হয়।
বাজেটের সমালোচনাকে গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারই বাজেট প্রস্তাব ও পাসের পর একটি মহল বলে বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অথচ গত ১৫ বছরে আমাদের প্রণীত বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৬ শতাংশ। দেশ এগিয়ে গেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র্য ৪১ থেকে ১৮.৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্য ২৫.৫ থেকে মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, গড় জিডিপি ভারতকে ছাড়িয়েছে এবং অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
এদিকে সৌদি আরবের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ‘পলিটিক্যাল কনসালটেশন’-এ যোগ দিতে আগামীকাল ভোরে রিয়াদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান। এ বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, সৌদি আরব আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। সেখানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করে এবং দেশে রেমিটেন্স পাঠায়। গ্রিন এনার্জি, সৌরশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে সৌদি সহযোগিতা রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য আমরা তাদেরকে বলব।
পাশাপাশি সৌদিরা যেহেতু বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে অর্থ রাখে, আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর একাউন্টে অর্থ রাখার প্রস্তাব তাদেরকে দিতে পারি, উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা নিয়মানুযায়ী লাভ পাবে এবং সেই একাউন্ট থেকে তারা তাদের মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। বিদেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অফশোর একাউন্ট সুবিধার জানালা আমরা উন্মুক্ত করেছি, এটি আমরা তুলে ধরতে চাই।
#
আকরাম/xxxx/xxxx/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৯০
ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের যেকোনো একটি রোপণে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী xxxxx xxxxx xxxxxx বলেছেন, জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিকের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের কমপক্ষে একটি রোপণ করা উচিত। সম্মিলিতভাবে গাছ রোপণ করে, আমরা একটি সবুজ, স্বাস্থ্যকর ও আরো টেকসই এবং সহনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
আজ ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে একটি নিম গাছ রোপণের মাধ্যমে ‘One Tree4Mother’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘One Tree4Mother’ ক্যাম্পেইন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রমাণ। দুই দেশ একসাথে, আমরা আরো টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব। এ কর্মসূচি সবাইকে গাছ রোপণ ও লালনে একত্রিত করে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষার দায়িত্ব নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
এ সময় বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় xxxxx xxxxxx, ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/xxxx/xxxx/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৩৫ঘণ্টা
Handout Number: 5289
Every
citizen should plant one fruit, timber or medicinal trees
--- Environment Minister
Dhaka, 30 June 2024:
Environment,
atleast and Climate Change Minister Xxxxx Xxxxxxx Xxxxxxxxx said
every citizen should plant at least one fruit, timber or medicinal
tree to improve our quality of life. By planting trees collectively,
we will be able to build a greener, healthier and more sustainable &
resilient environment.
Environment
Minister said this in his speech while launching the 'One
Tree4Mother' campaign in Bangladesh by planting a Neem tree at the
Indian Embassy in Dhaka today. High Commissioner of India to
Bangladesh Xxxxxx Xxxxx Xxxxx was also present.
Xxxxx
Xxxxxxx Xxxxxxxxx highlighted that the 'One Tree4Mother' campaign
embodies our shared commitment to preserving and nurturing the
environment for future generations and is a testament to the enduring
friendship and cooperation between Bangladesh and India. Together, we
can create more sustainable future, combat climate change and leave a
lasting legacy for our children and grandchildren.
Environment
Minister said this Campaign fosters a culture of environmental
stewardship and responsibility. Everyone has a role in safeguarding
our planet by inspiring communities to come together to plant,
nurture and protect trees that, in turn, protect us.
#
Xxxxxxxx/Xxxxx/Rana/Xxxxxx/Xxxxxx/2024/1940
hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৮৮
‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন):
‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্য জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে প্রেরণ করা হয়েছে। জার্নাল প্রকাশের তারিখ হতে দুই মাস সময়ের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষের আপত্তি বা বিরোধিতা না পাওয়া গেলে পণ্যটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন প্রদান করা হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কর্তৃক ‘সুন্দরবনের মধু’ পণ্যটিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আবেদন দাখিল করা হয়। ডিপিডিটি উক্ত আবেদন পরীক্ষান্তে আবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে অনুরোধ জানায়। ডিপিডিটি’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে সুন্দরবনের মধুর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিএসটিআই একটি পরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ডিপিডিটিকে প্রদান করে। এছাড়া চাহিত অন্যান্য তথ্য না পাওয়ায় উক্ত বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন, বাগেরহাটের কাছে তথ্য চাওয়া হলে, আবেদনকারী গত ২৭ জুন ২০২৪ তা পুনরায় দাখিল করে।
#
ফয়সল/পাশা/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৮৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ২৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮১।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫১২ জন।
#
দাউদ/পাশা/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫২৮৬
আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর
-জুনাইদ আহ্মেদ পলক
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন):
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। মোবাইল অপারেটরসমূহ গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটর যেসকল সুবিধাগুলো পাচ্ছে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটরসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে মোবাইল সেবাকে গ্রোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উপনীত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
করোনাকালে মোবাইল অপারেটরসমূহে ভূমিকার প্রশংসা করে পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। ‘কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসির পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিঅ্যাকশন না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা সেটা সরকার আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে তাদের গ্রাহককে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি বলেন, মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করা হবে।
পলক বলেন, ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে। এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব যাতে নদীটা পার হওয়া যায়।
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্রাজুয়েলি রোল আউট করা।
তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমাদের সেখানেও মনোযোগ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় কীভাবে ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়েও কাজ করছি। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোন সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের শীর্ষ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শেফায়েত/ফাতেমা/সিরাজ/কলি/শামীম/২০২৪/১৬১৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২৮৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১ জুলাই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না-এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু’, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫২ এর ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬ এর ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তাঁর আহ্বানে ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীগণ অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করছেন। জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এর প্রবর্তন করি।
গত সাড়ে ১৫ বছরে আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’, ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০’ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ প্রবর্তন করেছি। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য Accreditation Council Act-2016 পাস করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে Bangladesh Research and Education Network স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
-২-
আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি। এছাড়া, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক।
অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক।
দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
আমি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/ফাতেমা/রবি/কলি/আলী/শামীম/২০২৪/১৪২৭ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ