Contract
মাঠ পর্যায়ের অফিসের
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২1-২2
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
প্রকাশকাল: মার্চ, ২০২১
সূচিপত্র
ক্রমিক |
শিরোনাম |
পৃষ্ঠা নং |
১ |
ভূমিকা |
৩ |
২ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কাঠামোগত পরিবর্তনসমূহ |
৩ |
৩ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়নে সাধারণ নির্দেশাবলি |
৫ |
৪ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিভিন্ন সেকশন প্রস্তুত প্রক্রিয়া |
৭ |
৫ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুমোদন ও স্বাক্ষর |
১2 |
৬ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংশোধন |
১3 |
৭ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি পরিবীক্ষণ |
১3 |
৮ |
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়ন |
১৩ |
৯ |
এপিএ বিষয়ে প্রশিক্ষণ |
১4 |
১০ |
প্রতিটি সরকারি অফিসে এপিএ টিম গঠন |
১4 |
১1 |
এপিএ ক্যালেন্ডার |
১5 |
১2 |
পরিশিষ্ট কঃ এপিএ কাঠামো |
১৬ |
13 |
পরিশিষ্ট খঃ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত সুশাসনমূলক কর্মপরিকল্পনাসমূহ |
28 |
১3 |
পরিশিষ্ট গঃ কর্মপরিকল্পনাসমূহের নির্দেশিকা |
৩5 |
১৪ |
ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদন উর্ব্ধতন কার্যালয়ে প্রেরণের ছক |
৫৬ |
১. ভূমিকা
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান এবং কর্মকৃতি বা Performance মূল্যায়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছর হতে সরকারি অফিসসমূহে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ বা এপিএ প্রবর্তন করে। এপিএ-তে কোনো সরকারি অফিস একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যে সকল ফলাফল অর্জন করতে চায় সে সকল ফলাফল এবং তা অর্জনের নির্দেশকসমূহ একটি নির্ধারিত ছকে বর্ণনা করা হয়। এপিএ বর্তমানে মন্ত্রণালয়/বিভাগ হতে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এসকল সরকারি অফিসসমূহে এপিএ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতি বছর ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা’ প্রকাশ করে থাকে। এবছর এপিএ’র কাঠামোর কিছু উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে; যেমন: সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহকে (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার) সমন্বিতভাবে এপিএ’র অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ‘কৌশলগত উদ্দেশ্য’ নির্ধারণ শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়/বিভাগ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। এ নির্দেশিকাটি (মন্ত্রয়ালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থা ব্যাতিত) মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি অফিসের ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য প্রযোজ্য হবে।
২. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কাঠামোগত পরিবর্তনসমূহ:
বিধি/আইন দ্বারা প্রতিটি মাঠ পর্যায়ের অফিসের জন্য নির্ধারিত কার্যক্রম এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত সুশাসনমূলক কার্যক্রমসমূহের (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার) সামগ্রিক মূল্যায়ন এপিএ’র মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য পৃথক পৃথক কর্মপরিকল্পনা থাকবে; এবং এসকল কর্মপরিকল্পনা এপিএ’র অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসকল কর্মপরিকল্পনায় বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসের জন্য কী লক্ষ্যমাত্রা থাকবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এপিএ প্রণয়নকালে একইসাথে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ এপিএ’তে সংযুক্ত করেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত এপিএ স্বাক্ষর করতে হবে।
কৌশলগত উদ্দেশ্য/ আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়/বিভাগের এপিএতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ের অফিসের এপিএ’তে কৌশলগত উদ্দেশ্য ও আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে যথাক্রমে ‘কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র’ ও ‘সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র’ উল্লেখ থাকবে।
বিগত বছরসমূহে এপিএ’তে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিসের কৌশলগত উদ্দেশ্যের আওতায় ৭৫ নম্বর এবং আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। এবছর হতে মাঠ পর্যায়ের অফিসের কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রের (কৌশলগত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে) আওতায় নিজ নিজ অফিসের নির্ধারিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৭০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে এবং সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রের আওতায় (আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সর্বমোট ৩০ নম্বর (ওয়েটেড স্কোর) বরাদ্দ থাকবে। এই ৩০ নম্বরের মধ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য যথাক্রমে ১০, ৪, ৩, ১০ ও ৩ নম্বর (ওয়েটেড স্কোর) বরাদ্দ থাকবে (১০+৪+৩+১০+৩=৩০)।
এপিএ’তে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহের ওয়েটেড স্কোর নির্ধারণের জন্য প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা প্রথমে পৃথকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে উক্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এপিএ তে প্রদত্ত ওয়েটেড স্কোরের বিপরীতে রূপান্তর করে প্রাপ্ত নম্বর এপিএ তে যুক্ত করা হবে। কর্মপরিকল্পনাসমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এই নির্দেশিকার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্রে কোন পরিবর্তন আনা হয় নাই।
সেকশন ১ এ মাঠ পর্যায়ের অফিসের এপিএ তে ‘কৌশলগত উদ্দেশ্যের’ পরিবর্তে ‘কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র’ উল্লেখ থাকবে। আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্য এক্ষেত্রে ‘সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র’ নামে পরিচিত হবে। কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র নির্ধারণের পদ্ধতি এই নির্দেশিকার ‘এপিএ’র বিভিন্ন সেকশন প্রস্তুত প্রক্রিয়া’ অংশে বর্ণনা করা হয়েছে।
সেকশন ২ এ কোনো পরিবর্তন আনা হয় নাই।
সেকশন-৩ এর ছকের কলাম সংখ্যায় কোন পরিবর্তন আনা হয় নাই। তবে প্রথম কলামে ‘কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র/ সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র’ উল্লেখ করতে হবে।
সংযোজনী ১ (শব্দসংক্ষেপ) এ কোনো পরিবর্তন আনা হয় নাই; তবে বাংলা ও ইংরেজী শব্দসংক্ষেপ পৃথকভাবে লিখতে হবে।
সংযোজনী ২ (কর্মসম্পাদন সূচকের পরিমাপ পদ্ধতি) এর নাম পরিবর্তন করে ‘কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা ও প্রমাণক’ করা হয়েছে এবং কলাম সংখ্যা ৬ হতে কমিয়ে ৫ করা হয়েছে। নতুন সংযোজনী ২ নিম্নরুপ:
সংযোজনী ২
ক্রমিক নম্বর |
কার্যক্রম |
কর্মসম্পাদন সূচক |
বাস্তবায়নকারী অনুবিভাগ, অধিশাখা, শাখা |
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রমাণক |
|
|
|
|
|
সংযোজনী ৩ এর (অন্য অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ) কলাম সংখ্যা ৬ হতে কমিয়ে ৪ এ আনা হয়েছে। নতুন ছকটি নিম্নরুপ:
সংযোজনী ৩
কার্যক্রম |
কর্মসম্পাদন সূচক |
যেসকল অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট |
সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে কার্যক্রম সমন্বয়ের কৌশল |
|
|
|
|
মাঠ পর্যায়ের অফিসের জন্য সংযোজনী ৪-৮ পর্যন্ত যথাক্রমে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনা, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা সংযুক্ত করতে হবে। উল্লেখ্য যে এসকল কর্মপরিকল্পনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুত করে এই নির্দেশিকার সাথে, এপিএএম এস সফটওয়্যারে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ছাড়া অন্যান্য কর্মপরিকল্পনাসমূহ পুনরায় প্রস্তুতের প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার ফরম্যাট ও গাইডলাইন অনুযায়ী শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে নিজ নিজ ঊর্ধ্বতন অফিসের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করে চূড়ান্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
এপিএ’র কাঠামো পরিশিষ্ট ক তে সংযুক্ত করা হয়েছে;
সকল সরকারি অফিস এসকল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে এবং চাহিত প্রমাণক নিজ নিজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট মূল্যায়নের সময় প্রেরণ করবে। প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা এসাথে সংযুক্ত করা হয়েছে (পরিশিষ্ট ‘খ’ ও ‘গ’) ।
৩. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়নে সাধারণ নির্দেশাবলি
কর্মকৃতি বা Performance মূল্যায়নের একটি অন্যতম শর্ত হল যথাযথভাবে এপিএ প্রণয়ন। প্রতি বছর এপিএ নির্দেশিকাতে এপিএ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। নিম্নে ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়নে সহায়ক এরূপ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:
বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক (বাংলাদেশ কর্তৃক স্বীকৃত) পরিকল্পনায় বর্ণিত যেসকল লক্ষ্যমাত্রা কোন সরকারি অফিসের জন্য প্রযোজ্য, সেসকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১-২২ অর্থবছরে গৃহীতব্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অফিসের এপিএ-তে উল্লেখ থাকতে হবে। সরকারের জাতীয় পরিকল্পনাসমূহের কিছু উদাহরণ নিম্নে দেয়া হল:
ক) সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮
খ) প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১
গ) অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫
ঘ) বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ (Bangladesh Delta Plan 2100) এবং
ঙ) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ (Sustainable Development Goals 2030)।
প্রত্যেক সরকারি অফিস নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রণীত নীতি/আইন/কৌশলপত্র/পরিকল্পনায় বিধৃত লক্ষ্যমাত্রা/উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনে গৃহীত কার্যক্রম উল্লেখ করবে;
‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা এপিএ-তে উল্লেখ থাকবে; এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ সরকারি অফিসসমূহকে তাদের আওতাভুক্ত এবং জনকল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ২/১টি কাজ বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে;
মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রতিফলন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থার এপিএ তে থাকতে হবে;
অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ-তে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে;
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও সংস্কারমূলক উদ্যোগ, ডিজিটাইজেশন, ডিজিটাল সেবা প্রদান ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যমাত্রা এপিএ প্রণয়নে বিবেচনা করতে হবে;
ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি বা Ease of Doing Business এর নির্দেশকসমূহ যে সকল মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সে সকল নির্দেশকসমূহের অগ্রগতি বিবেচনায় রেখে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া যেতে পারে;
এপিএ প্রণয়নে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব (Fourth Industrial Revolution) সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে;
ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ-তে আওতাধীন অফিসের জন্য নির্ধারিত/প্রযোজ্য কার্যক্রমের উল্লেখ যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। তবে আওতাধীন অফিসের কাজের সম্ভাব্য সামষ্টিক প্রভাব/অর্জন ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ-তে প্রতিফলিত হতে পারে। এছাড়াও, আওতাধীন অফিসের কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বতন অফিস কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ উক্ত অফিসের এপিএ-তে উল্লেখ থাকতে পারে;
২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়নে পূর্ববর্তী বছরসমূহের এপিএ’র সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে;
এপিএ প্রণয়নে একটি সরকারি অফিস তার পারফরমেন্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসমূহ উল্লেখ করবে এবং রুটিনধর্মী ও ক্ষুদ্র কাজসমূহের উল্লেখ যথাসম্ভব পরিহার করবে। এ লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ তে মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহ সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) টি কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র এবং সর্বোচ্চ ৫০ টি (পঞ্চাশ) সূচকের মধ্যে এপিএ কে সীমাবদ্ধ রাখবে;
সরকারি কর্মচারীদের সক্ষমতার উন্নয়ন (সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিশেষ লার্নিং সেশন আয়োজনসহ) সংক্রান্ত কার্যক্রম এপিএ-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে;
যেসকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে অন্য এক/একাধিক সরকারি অফিসের উপর নির্ভর করতে হয় সেসকল কার্যক্রম এপিএ-তে উল্লেখের পূর্বে সেসকল সরকারি অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত সহযোগিতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসকল সহযোগিতা প্রদানের বিষয়সমূহ সেসকল সরকারি অফিসের এপিএ-তে উল্লেখ থাকা নিশ্চিত করতে হবে;
রুটিনধর্মী কাজের (যেমন সভা, পত্র জারি ইত্যাদি) উল্লেখ যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে;
পূর্ববর্তী বছরসমূহের ন্যায় ২০২১-২২ অর্থবছরের এপিএ প্রণয়ন, ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও দাখিলসহ এপিএ মূল্যায়নের যাবতীয় কাজ এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ের যে সকল অফিসের এপিএ এখনো এপিএএমএস সফটওয়্যারের আওতায় আসে নাই সে সকল অফিসের এপিএ এপিএএমএস সফটওয়্যারের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সহযোগীতায় এপিএএমএস সফটওয়্যারের আওতাভুক্ত হতে পারবে। এসকল অফিসের এপিএ’র ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদন উর্ব্ধতন অফিসে প্রেরণের ছক এই নির্দেশিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
যেসকল সরকারি অফিস এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের আওতায় এসেছে সেসকল অফিসের এপিএ প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং সকল প্রতিবেদন প্রেরণ শুধুমাত্র এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে।
এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের আওতাভুক্ত সকল অফিস এপিএ’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সকল প্রমাণক এপিএএমএস সফ্টওয়্যারে দাখিল করবে। তবে ঊর্ধ্বতন অফিসের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরের জন্য চূড়ান্ত এপিএ’র একটি মুদ্রিত কপি সংরক্ষণ করা যেতে পারে;
এপিএ প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজটি যথাযথভাবে সমন্বয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রতিটি অফিসের কোন একটি নির্দিষ্ট শাখা/অধিশাখাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। এপিএ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড উক্ত শাখা/অধিশাখায় সংরক্ষিত থাকবে। উক্ত শাখা/অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এপিএ টিমের সদস্য হবেন; এবং
এপিএ’র বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের সময়সীমা সংক্রান্ত একটি ক্যালেন্ডার এসাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সকল সরকারি অফিস এপিএ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করবে।
৪. মাঠ পর্যায়ের অফিসের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিভিন্ন সেকশন প্রস্তুত প্রক্রিয়া
২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সরকারি অফিসের কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র, প্রস্তাবনা এবং নিম্নবর্ণিত সেকশন ও সংযোজনীসমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
সেকশন ১: রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র এবং কার্যাবলি
সেকশন ২: কার্যক্রমের চূড়ান্ত ফলাফল/প্রভাব
সেকশন ৩: কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা
সংযোজনী ১: শব্দসংক্ষেপ
সংযোজনী ২: কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা ও প্রমাণক
সংযোজনী ৩: অন্য অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ
সংযোজনী ৪: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা,
সংযোজনী ৫: ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনা
সংযোজনী ৬: অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনা
সংযোজনী ৭: সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা
সংযোজনী ৮: তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা
মাঠ পর্যায়ের অফিসের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির কাঠামো পরিশিষ্ট ক তে সংযোজিত হল। প্রযোজ্য কাঠামো অনুসরণ করে প্রত্যেক সরকারি অফিস বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রস্তুত করবে। এসকল সেকশন ও সংযোজনী পূরণের প্রক্রিয়া নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল:
৪.১ কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র
সরকারি অফিসের কর্মসম্পাদনের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরার লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে এই অংশটি সংযোজন করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট অফিসের বিগত ৩ (তিন) বছরের প্রধান অর্জনসমূহ, কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ, এসকল চ্যালেঞ্জ/সমস্যা উত্তরণে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং উক্ত কর্মপরিকল্পনার আলোকে ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হবে। সার্বিক চিত্র সুনির্দিষ্ট ও তথ্যবহুল কিন্তু যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
৪.২ প্রস্তাবনা
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শুরুতে একটি প্রস্তাবনা থাকবে, যাতে এই চুক্তির উদ্দেশ্য, পক্ষসমূহ এবং চুক্তিতে বর্ণিত ফলাফলসমূহ অর্জনের বিষয়ে তাদের সম্মত হওয়া সম্পর্কে উল্লেখ থাকবে।
4.৩ সেকশন-১: রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র এবং কার্যাবলি
রূপকল্প (Vision)
রূপকল্প মূলত একটি সরকারি অফিসের ভবিষ্যৎ আদর্শ অবস্থা (idealized state) নির্দেশ করে। রূপকল্প সাধারণত ৫-১০ বছর মেয়াদের জন্য নির্ধারণ করা হয়। ফলে অফিসের কাঠামোগত পরিবর্তন বা কাজের ধরন ব্যাপক পরিবর্তন ব্যতীত রূপকল্প বছর বছর পরিবর্তিত হবে না। একটি ভাল রূপকল্প সহজে পাঠযোগ্য ও বোধগম্য হবে। এটি কল্পনায় ধারণ করার মত সংক্ষিপ্ত ও জোরালো হবে যা গন্তব্য নির্দেশ করবে, কিন্তু এটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পথনকশা নয়। রূপকল্প সরকারি কর্মচারীদের উদ্বুদ্ধ এবং উজ্জীবিত করবে, যা একইসঙ্গে অর্জনযোগ্য এবং চ্যালেঞ্জিংহবে।
অভিলক্ষ্য (Mission)
একটি সরকারি দপ্তর তার নির্দিষ্ট রূপকল্পটি কী ভাবে অর্জন করবে অভিলক্ষ্য মূলতঃ তাই নির্দেশ করে। অভিলক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় রাখতে হবে :
একটি দপ্তর একটি নির্দিষ্ট সময়ে,
কী অর্জন করতে চায়;
কীভাবে অর্জন করতে চায়; এবং
কার জন্য অর্জন করতে চায় অর্থাৎ এর সম্ভাব্য উপকারভোগী কারা।
অভিলক্ষ্য অবশ্যই রূপকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র:
দপ্তর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের রূপকল্প, অভিলক্ষ্য ও কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। এসকল অফিসসমূহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের রূপকল্প, অভিলক্ষ্য ও কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহের আলোকে নিজ নিজ রূপকল্প, অভিলক্ষ্য ও কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র নির্ধারণ করবে। কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র মূলত সমজাতীয় কার্যক্রমসমূহকে একটি নির্দিষ্ট cluster-এ অন্তর্ভুক্ত করবে। এসকল অফিসসমূহের এপিএ’তে আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যের পরিবর্তে ‘সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর আওতায় ‘সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদন জোরদারকরণ’ শিরোনামে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত একটি কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র থাকবে।
কার্যাবলি (Functions)
মাঠ পর্যায়ের অফিসের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি ও সরকারি আদেশ দ্বারা নির্ধারিত কার্যাবলি সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
৪.৪ সেকশন-২: কার্যক্রমসমূহের চূড়ান্ত ফলাফল/প্রভাব
সেকশন-২ এ সরকারি অফিসসমূহ সেকশন-৩ এ বর্ণিত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে সকল চূড়ান্ত ফলাফল (end result or outcome) অর্জন করতে চায় সেগুলি উল্লেখ করবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় প্রতিটি ঘরে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়া বিদ্যুৎ বিভাগের একটি অন্যতম লক্ষ্য যা মধ্য বা দীর্ঘমেয়াদে অসংখ্য কার্যক্রম সম্পন্নের পরে অর্জিত হবে। এরূপ লক্ষ্য অর্জনে আলোচ্য অর্থবছর পর্যন্ত সম্ভাব্য অগ্রগতি সেকশন-২ এ উল্লেখ করতে হবে। সেকশন-২ এ লক্ষ্যমাত্রা/চূড়ান্ত ফলাফল সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) হতে ০৪ (চার)টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাই বাঞ্ছনীয়। রূপকল্প এবং অভিলক্ষ্যের ন্যায় চূড়ান্ত ফলাফলও বছর বছর পরিবর্তন করা সমীচীন নয়।
৪.৫ সেকশন-৩: কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা
কলাম-১: কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র
সেকশন-১ এ বর্ণিত কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র সেকশন-৩ এর কলাম-১ এ উল্লেখ করতে হবে। কর্মসম্পাদন সর্বমোট ১০০ নম্বরের (weight) ভিত্তিতে পরিমাপ করা হবে। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের জন্য ৭০ নম্বর এবং সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের জন্য ৩০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে।
কলাম-২: কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের মান
কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রসমূহ গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ক্রমানুসারে উল্লেখ করতে হবে। সেক্ষেত্রে, অধিকতর গুরুত্বসম্পন্ন ক্ষেত্রের মান বেশি হবে এবং কম গুরুত্বসম্পন্ন ক্ষেত্রের মান কম হবে। কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের মধ্যে মানবণ্টনের ক্ষেত্রে যাতে ভারসাম্য রক্ষিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
কলাম-৩: কার্যক্রম
প্রতিটি কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র পূরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। কখনো কখনো একটি কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের বিপরীতে এক বা একাধিক কার্যক্রমও থাকতে পারে। উল্লেখ্য, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক তথা ফলাফলধর্মী কর্মসংস্কৃতিকে উৎসাহ প্রদান করে এরূপ কার্যক্রমকেও অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাসময়ে প্রকল্প সম্পন্ন করা এবং প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করা সংক্রান্ত কার্যক্রমকে গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত বাজেটের আলোকে কার্যক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বিগত অর্থবছরের এপিএ-তে উল্লেখ করা অসমাপ্ত কার্যক্রমসমূহ পরের অর্থবছরের এপিএ-তে উল্লেখ থাকতে হবে। ক্ষুদ্র বা রুটিনধর্মী কাজ যেমন সভা/মেলা আয়োজন, পত্র জারি, পরিদর্শন ইত্যাদি যথাসম্ভব পরিহার করে ফলাফলধর্মী কাজ যেমন প্রদত্ত জনসেবার মানোন্নয়ন, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, প্রকল্প সমাপ্তি, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, নীতি/আইন/পরিকল্পনা ইত্যাদি দলিল প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক/জাতীয় ইভেন্টে অংশগ্রহণের/আয়োজনের ফলে অর্জিত ফলাফল ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
কলাম-৪: কর্মসম্পাদন সূচক
কলাম-৩ এ বর্ণিত প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য এক বা একাধিক কর্মসম্পাদন সূচক নির্ধারণ করতে হবে, যা দ্বারা বছর শেষে উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিমাপ করা যাবে। কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে কোন রকম দ্বৈততা পরিহার করা সমীচীন হবে।
কলাম-৫: গণনা পদ্ধতি
কর্মসম্পাদন সূচকের পরিমাপ করার চারটি পদ্ধতি এপিএ তে উল্লেখ আছে; যথা- সমষ্টি, গড়, তারিখ ও ক্রমপুঞ্জিভূত। এপিএ প্রণয়নকালে কর্মসম্পাদন সূচকের বিপরীতে প্রযোজ্য গণনা পদ্ধতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নির্ধারণ করতে হবে। একটি সূচকের সকল ত্রৈমাসিকের অর্জন যে গণনা পদ্ধতির মাধ্যমে বার্ষিক অর্জনে প্রতিফলিত হবে সেই গণনা পদ্ধতি উক্ত সূচকের জন্য নির্ধারণ করতে হবে। নিম্নে বিভিন্ন গণনা পদ্ধতি ব্যবহারের উদাহরণ দেয়া হল।
সমষ্টি ও গড়: ধরা যাক কোন সরকারি অফিস কর্তৃক চারটি ত্রৈমাসিকে প্রদত্ত প্রশিক্ষণের সংখ্যা যথাক্রমে ১০, ১৫, ২০ ও ২৫। ঐ সরকারি অফিস বছরে সর্বমোট প্রদত্ত প্রশিক্ষণকে এপিএ’র বার্ষিক অর্জন হিসাবে প্রদর্শন করতে চাইলে গণনা পদ্ধতি ‘সমষ্টি’ নির্ধারণ করবে। এই পদ্ধতিতে অর্জন হবে ১০+১৫+৩০+২৫=৮০। অপরদিকে ঐ অফিস যদি বার্ষিক অর্জন হিসেবে প্রতি ত্রৈমাসিকে গড়ে প্রদত্ত প্রশিক্ষণকে প্রদর্শন করতে চায় তবে গণনা পদ্ধতি ‘গড়’ নির্ধারণ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে অর্জন হবে (১০+১৫+৩০+২৫)/৪= ২০ অর্থাৎ প্রতি ত্রৈমাসিকে গড়ে ২০ টি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বাজেট প্রাপ্তি ও কর্মসম্পাদনের সুবিধা বিবেচনায় ‘গড়’ অথবা ‘সমষ্টি’ গণনা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে। তবে যেসকল অর্জনকে শতকরা হারে অর্থাৎ percentage (%) এককে দেখানো হয় সেসকল সূচকের গণনা পদ্ধতি ‘গড়’ হওয়াই সমীচীন। এক্ষেত্রে ‘সমষ্টি’ গণনা পদ্ধতি গ্রহণ করলে বছর শেষে অর্জন ১০০% এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তারিখ: যেসকল কাজ কোন নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সম্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় সেসকল কাজের গণনা পদ্ধতি তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে একই তারিখ প্রদান করতে হবে এবং সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে প্রদত্ত তারিখই চূড়ান্ত বার্ষিক অর্জন হিসাবে বিবেচিত হবে।
ক্রমপুঞ্জিভূতঃ এই গণনা পদ্ধতি ‘সমষ্টি’ গণনা পদ্ধতির মতোই তবে এক্ষেত্রে পূর্বের ত্রৈমাসিকের অর্জন পরবর্তী ত্রৈমাসিকের অর্জনের সাথে যোগ করতে হবে। এভাবে সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ ত্রৈমাসিকে প্রদত্ত তথ্যই চূড়ান্ত অর্জন হিসাবে বিবেচিত হবে। ধরা যাক কোন সূচকের বিপরীতে ১ম ত্রৈমাসিকে অর্জন ৫, ২য় ত্রৈমাসিকে অর্জন ৩, ৩য় ত্রৈমাসিকে অর্জন ৪ এবং ৪র্থ ত্রৈমাসিকে অর্জন ৬। ক্রমপুঞ্জিভূত গণনা পদ্ধতির আওতায় এক্ষেত্রে ১ম ত্রৈমাসিকের অর্জন হবে ৫, ২য় ত্রৈমাসিকের অর্জন ১ম ত্রৈমাসিকের সঙ্গে ক্রমপুঞ্জিভূত হয়ে ৩+৫=৮ হবে, ৩য় ত্রৈমাসিকে অর্জন ২য় ত্রৈমাসিকের সাথে ক্রমপুঞ্জিভূত হয়ে ৮+৪=১২ হবে এবং ৪র্থ ত্রৈমাসিকে অর্জন ৩য় ত্রৈমাসিকের সঙ্গে ক্রমপুঞ্জিভূত হয়ে ১২+৬=১৮ হবে। এক্ষেত্রে বার্ষিক অর্জন হবে ৪র্থ ত্রৈমাসিকের অর্জন অর্থাৎ ১৮। উল্লেখ্য, APAMS সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ক্রমপুঞ্জিভূত গণনা পদ্ধতি প্রয়োগের সময় সকল ক্যালকুলেশন ম্যানুয়ালি সফ্টওয়্যারে প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ এই গণনা পদ্ধতি সিলেক্ট করলে সফ্টওয়্যার নিজ হতে কোন ক্যালকুলেশন করে না; তবে ২য় ত্রৈমাসিকে প্রদত্ত তথ্য অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি হিসেবে এবং ৪র্থ ত্রৈমাসিকে প্রদত্ত তথ্য চূড়ান্ত অর্জন হিসাবে বিবেচনা করে।
কলাম ৬: একক
কর্মসম্পাদন সূচকের লক্ষ্যমাত্রা পরিমাপের একক (unit) এই কলামে উল্লেখ করতে হবে।
কলাম ৭: কর্মসম্পাদন সূচকের মান
কোন কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রের বিপরীতে একাধিক কার্যক্রম থাকলে প্রতিটি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য এক বা একাধিক কর্মসম্পাদন সূচক থাকবে এবং প্রতিটি কর্মসম্পাদন সূচকের একটি নির্ধারিত মান থাকবে। বিভিন্ন কর্মসম্পাদন সূচকের মান এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সবগুলি কর্মসম্পাদন সূচকের মোট মান সংশ্লিষ্ট কৌশলগত উদ্দেশ্যের বিপরীতে বরাদ্দকৃত মানের সমান হয়।
কলাম-৮ ও ৯: এই কলামদ্বয়ে যথাক্রমে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রকৃত অর্জন উল্লেখ করতে হবে। বিগত বছরের এপিএ’র মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রদর্শিত প্রকৃত অর্জনের সঙ্গে কলাম ৮-এ প্রদর্শিত প্রকৃত অর্জনের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
কলাম-১০-১৪: লক্ষ্যমাত্রা/ নির্ণায়ক ২০২১-২২
লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে কর্মসম্পাদন (performance) উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রা একইসঙ্গে অর্জনযোগ্য এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত। লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে নিম্নরূপ ৫ দফা স্কেলে বিন্যস্ত করতে হবে:
অসাধারণ |
অতি উত্তম |
উত্তম |
চলতি মান |
চলতি মানের নিম্নে |
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০২০-২১ অর্থবছরের অর্জনকে চলতিমান বিবেচনা করে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ‘চলতি মান’ কলামে উল্লেখ করতে হবে। উক্ত অর্জনের চেয়ে কম কোনো অর্জন ‘চলতি মানের নিম্নে’র কলামে উল্লেখ করতে হবে। কর্মসম্পাদন সূচকের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রাসমূহ গাণিতিকভাবে নির্ধারিত হবে না। উদাহরণস্বরূপ কোন কর্মসম্পাদন সূচকের বিপরীতে ৬০% এর কলামে লক্ষ্যমাত্রা ৬ নিরুপণ করা হলে ৭০% এর কলামে তা ৭ নির্ধারণ না করে ৬.৫ বা ৭.৫ বা ৮ নির্ধারণ করা যেতে পারে। স্কেলে উল্লিখিত শতকরা নম্বর কেবলমাত্র কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। উল্লেখ্য, কোন কর্মসম্পাদন সূচকের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত অর্জন ৬০%-এর নিচে হলে প্রাপ্ত মান ০ (শূন্য) ধরা হবে । লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দুই বছরের প্রকৃত অর্জন ও অর্জনের প্রবৃদ্ধি, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ, সংশ্লিষ্ট অফিসের সক্ষমতা এবং বিরাজমান বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে।
কলাম-১5 ও১6: ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থ-বছরের প্রকৃত অর্জন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রক্ষেপিত লক্ষ্যমাত্রা কলাম ১5 ও ১6-এ প্রদর্শন করতে হবে।
৪.৬ সংযোজনী-১: শব্দসংক্ষেপ
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দসংক্ষেপের পূর্ণরূপ সংযোজনী-১ এ সন্নিবেশ করতে হবে। শব্দসংক্ষেপ বর্ণমালার ক্রমানুসারে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজী শব্দসংক্ষেপের জন্য পৃথক সারণী প্রস্তুত করতে হবে।
৪.৭ সংযোজনী-২: কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা ও প্রমাণক
সংযোজনী-২ এর কলাম-২ ও ৩ এর কার্যক্রম ও সূচকসমূহ সেকশন-৩ এর অনুরূপ হবে। কলাম-৪ এ উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাখা, অধিশাখা, অনুবিভাগের নাম উল্লেখ করতে হবে। কলাম-৫ এ প্রতিটি সূচকের অর্জনের সপক্ষে কী প্রমাণক প্রদান করা হবে তা উল্লেখ করতে হবে।
৪.৮ সংযোজনী-৩: অন্য অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ
কতিপয় ক্ষেত্রে কোন কোন সরকারি অফিসের কর্মসম্পাদনের সফলতা সরকারের অন্য এক বা একাধিক অফিসের কর্মসম্পাদনের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য এ সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে দল হিসাবে কাজ করতে হয়; একক কোন প্রতিষ্ঠান হিসাবে নয়। এসকল কাজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নেবে। অন্য সরকারি অফিসের নিকট প্রত্যাশিত সহায়তা এবং কতিপয় নির্ধারিত কর্মসম্পাদন সূচকের সফলতার ক্ষেত্রে অন্য সরকারি অফিসের ওপর নির্ভরশীলতার বিষয়টি সংযোজনী-৩ এ উল্লেখ করতে হবে।
৪.৯ সংযোজনী ৪-৮: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ
সংযোজনী ০৪ হতে ০৮ পর্যন্ত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট অফিস শুধুমাত্র প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। কর্মপরিকল্পনাসমূহ এপিএ তে সংযুক্ত করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসহ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ এবং প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি এই নির্দেশিকার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে (পরিশিষ্ট খ ও গ)। সংযুক্ত কর্মপরিকল্পনাসমূহ এই নির্দেশিকার সাথে, এপিএএমএস সফটওয়্যারে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। সংশ্লিষ্ট অফিস আপলোডকৃত কর্মপরিকল্পনাসমূহ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করে এপিএ স্বাক্ষর করবে। শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ছাড়া অন্যান্য কর্মপরিকল্পনাসমূহ পুনরায় প্রস্তুতের প্রয়োজন নাই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার ফরম্যাট ও গাইডলাইন অনুযায়ী শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে নিজ নিজ ঊর্ধ্বতন অফিসের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করে চূড়ান্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৫. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুমোদন ও স্বাক্ষর
এপিএ অনুমোদন ও স্বাক্ষরের জন্য নিম্নলিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে :
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রণীত নির্দেশিকা অনুসারে এপিএ টিমের সদস্যগণ এপিএ-এর খসড়া প্রণয়ন করবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন অফিসের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
প্রতিটি অফিসের এপিএ টিম উল্লিখিতভাবে (ক্রমিক ৪) এপিএ’র বিভিন্ন ছক/সেকশন পূরণ করে প্রথম খসড়া প্রস্তুত করবেন। খসড়া প্রস্তুতের সময় সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখার কর্মকর্তা এবং আওতাধীন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
খসড়াটি অফিসের বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনা করতে হবে এবং অনুমোদিত হতে হবে।
খসড়াটিতে অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করে এপিএ স্বাক্ষরকারী ঊর্ধ্বতন অফিসে প্রেরণ করতে হবে।
ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ টিম খসড়াটি পর্যালোচনা করে ফিডব্যাক বা ফলাবর্তক প্রদান করবে।
প্রদত্ত ফলাবর্তক অনুযায়ী খসড়া এপিএ সংশোধন করে এপিএ টিম চূড়ান্ত খসড়া অফিস প্রধানের অনুমোদনক্রমে ঊর্ধ্বতন অফিসে স্বাক্ষরের জন্য প্রেরণ করবে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ এপিএএমএস সফটওয়্যারে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। সংশ্লিষ্ট অফিস আপলোডকৃত কর্মপরিকল্পনাসমূহ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করে এপিএ স্বাক্ষর করবে। শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ছাড়া অন্যান্য কর্মপরিকল্পনাসমূহ পুনরায় প্রস্তুতের প্রয়োজন নাই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার ফরম্যাট ও গাইডলাইন অনুযায়ী শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে নিজ নিজ ঊর্ধ্বতন অফিসের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করে চূড়ান্ত শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ টিম আওতাধীন অফিসের এপিএ স্বাক্ষরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এপিএ স্বাক্ষরের পর ঊর্ধ্বতন অফিস এবং আওতাধীন অফিসের ওয়েবসাইটে স্বাক্ষরিত এপিএ আপলোড করতে হবে।
যেসকল অফিসের এপিএ, এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের আওতায় এসেছে সেসকল অফিস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ প্রস্তুত করবে। তবে চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য একটি মুদ্রিত কপি সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৬. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংশোধন
কোন সরকারি অফিস ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তিতে উল্লিখিত কোন কর্মসম্পাদন সূচক এবং তদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এপিএ স্বাক্ষরকারী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সংশোধনের প্রস্তাব প্রেরণ করবে। এক্ষেত্রে সকল কর্মসম্পাদন সূচকের (আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্য ব্যতীত) সর্বোচ্চ শতকরা ১০ ভাগ পর্যন্ত সূচকের পরিবর্তনের প্রস্তাব যৌক্তিক ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারবে। এপিএ ক্যালেন্ডারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে। সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন সংশোধনী প্রস্তাব বিবেচনা করা যাবে না।
৭. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি পরিবীক্ষণ
প্রতিটি সরকারি অফিসের এপিএ টিম কর্মসম্পাদন চুক্তি পরিবীক্ষণ কর্মকাণ্ড সমন্বয় করবে। এ লক্ষ্যে এপিএ টিম প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হবে ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এপিএ টিমের সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এপিএ’র অগ্রগতি পর্যালোচনায় বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অগ্রগতি প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। অফিসের মাসিক সমন্বয় সভায় এপিএ’র অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে হবে।
কর্মসম্পাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত অর্জন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে (মধ্য-অক্টোবর, মধ্য-জানুয়ারি, মধ্য-এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট অফিসের এপিএ টিম ও বাজেট ব্যবস্হাপনা কমিটি কর্তৃক পরিবীক্ষণ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন নিশ্চিত করতে উক্ত কমিটিসমূহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। প্রতি ত্রৈমাসিকের অগ্রগতি প্রতিবেদন অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও, প্রতিটি অফিস অর্থবছরের ছয় মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় মাসে অর্জিত অগ্রগতি/ফলাফলের একটি অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রমাণকসহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (এপিএ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (এপিএ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) আওতাধীন অফিসের এপিএ’র অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি বিষয়ে ফলাবর্তক প্রদান করবে। যেসকল অফিস এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের আওতাভুক্ত সেসকল অফিস অনলাইনে ত্রৈমাসিক ও অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে।
৮. বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়ন
২০২১-2২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:
১) প্রতিটি কর্মসম্পাদন চুক্তির অর্জনের সপক্ষে প্রমাণক দাখিল করতে হবে;
২) কোন সূচকের অর্জনের সপক্ষে প্রমাণক দাখিল করা না হলে সূচকটি অর্জিত হয় নাই মর্মে বিবেচিত হবে;
৩) সকল প্রমাণক এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে; তবে যেসকল অফিস এপিএএমএস সফটওয়্যারের আওতাভুক্ত হয়নি সে সকল অফিসের প্রমাণক পেন ড্রাইভ/ ইমেইলে প্রেরণ করতে হবে;
৪) যে সকল প্রমাণকের আকার ২ মেগাবাইটের অধিক/ইমেইলে প্রেরণ করা সম্ভব নয় সেসকল প্রমাণক দাখিলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
৫) সকল প্রমাণকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকতে হবে; স্বাক্ষরবিহীন প্রমাণক বিবেচনা করা হবে না;
৬) প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত সকল সূচকের প্রমাণক হিসেবে অর্জনের সপক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ‘প্রকল্প-পরিচালকের’ প্রত্যায়নপত্র এবং Project Steering Committee (PSC)/Project Implementation Committee (PIC) এর সভার কার্যবিবরণী প্রদান করতে হবে;
৭) এপিএ’র প্রতিটি অর্জন নিশ্চিতের বিষয়ে এপিএ টিম কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা অর্থবছর শেষে পৃথকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
০৯. এপিএ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
প্রতিটি সরকারি অফিস নিজ অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য এপিএ বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন অফিস কর্তৃক আওতাধীন অফিসের কর্মকর্তাদের জন্য এপিএ বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
১০. প্রতিটি সরকারি অফিসে এপিএ টিম গঠন
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের নিমিত্ত এপিএ কার্যক্রমের আওতায় থাকা প্রতিটি সরকারি অফিসে একটি এপিএ টিম থাকবে। এপিএ টিমে প্রশাসন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন, বাজেট ও আইসিটি সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ থাকবে। এছাড়াও, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও এপিএ টিমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এপিএ টিম অর্থবছরের প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার সভায় মিলিত হবে এবং এপিএ সংশ্লিষ্ট কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এপিএ টিমের সদস্যদের মধ্যে একজন টিম লিডার ও একজন ফোকাল পয়েন্ট হবেন। এপিএ টিম লিডার হিসাবে অফিসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করতে হবে যিনি এপিএ টিমের সদস্যদের মাধ্যমে এপিএ বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করবেন, এপিএ টিমের সভায় সভাপতিত্ব করবেন, এবং এপিএ’র অগ্রগতি বিষয়ে অফিস প্রধানকে অবহিত রাখবেন। ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে অফিসের বাজেট শাখার কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করতে হবে। এপিএ ফোকাল পয়েন্ট এপিএ সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করবেন, এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের পাসওয়ার্ড ও ইউজার আইডি সংরক্ষণ করবেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন এবং এপিএ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি ওয়েবসাইটে হালনাগাদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
১০.১ এপিএ টিমের দায়িত্ব
খসড়া এপিএ প্রণয়ন করা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করা;
প্রতি দুই মাসে একবার এপিএ’র অগ্রগতি পর্যালোচনা করা;
এপিএ’র সংশোধন (যদি থাকে) প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ;
প্রতি ত্রৈমাসিকের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং ঊর্ধ্বতন অফিসে প্রেরণ;
অর্ধবার্ষিক অগ্রগতির প্রমাণক সংরক্ষণ;
বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত, প্রমাণকের যথার্থতা যাচাই ও সংরক্ষণ এবং অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন অফিসে প্রেরণ;
এপিএএমএস সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন প্রেরণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রেরণ নিশ্চিত করা;
আওতাধীন অফিসের (যদি থাকে) এপিএ চূড়ান্ত করা, এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন, অর্ধবার্ষিক অগ্রগতির বিষয়ে ফলাবর্তক প্রদান এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা; এবং
এপিএ ক্যালেন্ডার ও নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সম্পাদন।
১১. এপিএ ক্যালেন্ডার:
এপিএ প্রণয়ন ও স্বাক্ষর
মাঠ পর্যায়ে এপিএ স্বাক্ষরের শেষ তারিখঃ ২৫ জুন
এপিএ সংশোধন
সংশোধনের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন অফিসে যৌক্তিকতাসহ প্রেরণের শেষ তারিখ: ৩০ সেপ্টেম্বর
এপিএ পরিবীক্ষণ
ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের শেষ তারিখঃ ১৫ অক্টোবর, ১৫ জানুয়ারী, ১৫ এপ্রিল
আওতাধীন অফিসের এপিএ’র অর্ধ-বার্ষিক মূল্যায়ন প্রদানের শেষ তারিখঃ ৩০ জানুয়ারী
এপিএ মূল্যায়ন:
মূল্যায়ন প্রতিবেদন (প্রমাণকসহ) ঊর্ধ্বতন অফিসে প্রেরণের শেষ তারিখঃ ১৫ জুলাই
আওতাধীন অফিসের এপিএ মূল্যায়ন সমাপ্ত করে ফলাফল প্রকাশের শেষ তারিখঃ ৩০ আগস্ট
পরিশিষ্ট ‘ক’
মাঠ পর্যায়ের অফিসের
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির নতুন কাঠামো
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
(এপিএ প্রস্তুতকারী অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম)
-------------------------------------------------------
এবং
(ঊর্ধ্বতন অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম)
-------------------------------------------------------------------------------
এর মধ্যে স্বাক্ষরিত
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
১ জুলাই, ২০২১ - ৩০ জুন, ২০২২
সূচিপত্র
বিষয় |
পৃষ্ঠা নং |
কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র |
|
প্রস্তাবনা |
|
সেকশন ১: রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র এবং কার্যাবলি |
|
সেকশন ২: বিভিন্ন কার্যক্রমের চূড়ান্ত ফলাফল/ প্রভাব |
|
সেকশন ৩: কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা |
|
সংযোজনী ১: শব্দসংক্ষেপ |
|
সংযোজনী ২: কর্মসম্পাদন সূচকের পরিমাপ পদ্ধতি |
|
সংযোজনী ৩: অন্য অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ |
|
সংযোজনী ৪: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২২ |
|
সংযোজনী ৫: ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা, 2021-22 |
|
সংযোজনী ৬: অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২২ |
|
সংযোজনী ৭: সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২০২২ |
|
সংযোজনী ৮: তথ্য অধিকার বিষয়ে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, 2021-22 |
|
কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ
সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ
|
প্রস্তাবনা
প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন সংহতকরণ এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে-
(এপিএ প্রস্তুতকারী অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম)
--------------------------------------------------------------------------------------------------
এবং
--------------------------------------------------------------------------------------------------
(ঊর্ধ্বতন অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম)
এর মধ্যে ২০২১ সালের জুন মাসের .........................তারিখে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
স্বাক্ষরিত হল।
এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী উভয়পক্ষ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে সম্মত হলেন:
সেকশন ১:
রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র এবং কার্যাবলি
১.১ রূপকল্প:
১.২ অভিলক্ষ্য:
১.৩ কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র (সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃক নির্ধারিত, সর্বোচ্চ ৫টি):
১)
২)
৩)
৪)
৫)
সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত)
১) সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রম জোরদারকরণ
১.৪ কার্যাবলি: (আইন/বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যাবলি)
সেকশন ২
বিভিন্ন কার্যক্রমের চূড়ান্ত ফলাফল/প্রভাব
চূড়ান্ত ফলাফল/প্রভাব
|
কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ
|
একক
|
প্রকৃত অর্জন |
লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২২ |
প্রক্ষেপণ |
নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে যৌথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ সংস্হাসমূহের নাম |
উপাত্তসূত্র
|
||
২০১৯-২০ |
২০২০-২১ |
২০২২-২৩ |
২০২৩-২৪ |
||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সেকশন ৩ কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা
কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র |
ক্ষেত্রের মান ৭০ |
কার্যক্রম |
কর্মসম্পাদন সূচক |
গণনা পদ্ধতি |
একক |
কর্মসম্পাদন সূচকের মান |
প্রকৃত অর্জন |
লক্ষ্যমাত্রা/নির্ণায়ক ২০২১-২২ |
প্রক্ষেপণ |
প্রক্ষেপণ |
||||||||||
২০১৯-২০ |
২০২০-২১ |
অসাধারণ |
অতি উত্তম |
উত্তম |
চলতি মান |
চলতি মানের নিম্নে |
২০২২-২৩ |
২০২৩-২৪ |
||||||||||||
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
||||||||||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
১৪ |
১৫ |
১৬ |
|||||
কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রসমূহ (বিধি/আইন দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৫টি) |
||||||||||||||||||||
[১] |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|||||
[২] |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
||||||
[৩] |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
||||||
সুশাসন ও সংস্কারমূলক কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত) |
||||||||||||||||||||
সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন জোরদারকরণ |
৩০ |
১) শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত |
|
|
10 |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|||||
২) ই-গভর্ন্যান্স/ উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
ই-গভর্ন্যান্স/ উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত |
|
|
10 |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|||||||
৩) তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত |
|
|
3 |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|||||||
৪) অভিযোগ প্রতিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
অভিযোগ প্রতিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত |
|
|
4 |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|||||||
৫) সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত |
|
|
3 |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আমি, (এপিএ প্রস্তুতকারী অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম), হিসেবে (ঊর্ধ্বতন অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম) নিকট অঙ্গীকার করছি যে এই চুক্তিতে বর্ণিত ফলাফল অর্জনে সচেষ্ট থাকব।
আমি, (ঊর্ধ্বতন অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম) হিসেবে (এপিএ প্রস্তুতকারী অফিসের অফিস প্রধানের পদবী ও অফিসের নাম) এর নিকট অঙ্গীকার করছি যে এই চুক্তিতে বর্ণিত ফলাফল অর্জনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করব।
স্বাক্ষরিত:
--------------------------------------- -----------------------------
এপিএ প্রস্তুতকারী কর্তৃপক্ষের পদবী তারিখ
অফিসের নাম
--------------------------------------- ---------------------------------
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পদবী তারিখ অফিসের নাম
সংযোজনী-১ শব্দসংক্ষেপ
সংযোজনী- ২:
কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা ও প্রমাণক
ক্রমিক নম্বর |
কার্যক্রম |
কর্মসম্পাদন সূচক |
বাস্তবায়নকারী অনুবিভাগ, অধিশাখা, শাখা |
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রমাণক |
১ |
|
|
|
|
২ |
|
|
|
|
৩ |
|
|
|
|
৪ |
|
|
|
|
সংযোজনী ৩:
অন্য অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচকসমূহ
কার্যক্রম |
কর্মসম্পাদন সূচক |
যেসকল অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট |
সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে কার্যক্রম সমন্বয়ের কৌশল |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
পরিশিষ্ট খঃ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত সুশাসনমূলক কর্মপরিকল্পনাসমূহ
সংযোজনী ৪-৮
সংযোজনী ৪:
|
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২১-২০২২ |
|
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের নাম:
কার্যক্রমের নাম |
কর্মসম্পাদন সূচক
|
সূচকের মান |
একক
|
বাস্তবায়নেরদায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/পদ |
২০২০-২০২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা |
বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ, ২০২০-২০২১ |
|
মন্তব্য |
||||||
লক্ষ্যমাত্রা/ অর্জন |
১ম কোয়ার্টার |
২য় কোয়ার্টার |
৩য় কোয়ার্টার |
৪র্থ কোয়ার্টার |
মোট অর্জন |
অর্জিত মান |
||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
১৪ |
|
১. প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা……………………………….....২৬ |
||||||||||||||
১.১ নৈতিকতা কমিটি সভা আয়োজন |
সভা আয়োজিত |
৪ |
সংখ্যা |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.২ নৈতিকতা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন |
বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত |
৬ |
% |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.৩ সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের (stakeholders) অংশগ্রহণে সভা |
অনুষ্ঠিত সভা |
৪ |
সংখ্যা |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.৪ শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন |
প্রশিক্ষণ আয়োজিত |
২ |
সংখ্যা |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.৫ কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন (স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ/টিওএন্ডইভুক্ত অকেজো মালামাল বিনষ্টকরণ/পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি ইত্যাদি |
উন্নত কর্ম-পরিবেশ |
৩ |
সংখ্যা ও তারিখ |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.৬ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২১-২২ ও ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন দপ্তর/সংস্থায় দাখিল ও স্ব স্ব ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ |
কর্ম-পরিকল্পনা ও ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন দাখিলকৃত ও আপলোডকৃত |
৪ |
তারিখ |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
১.৭ শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ |
প্রদত্ত পুরস্কার |
৩ |
তারিখ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
২. ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার ........................................................................৪ |
||||||||||||||
২.১ ২০২১-২২ অর্থ বছরের ক্রয়-পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ |
ক্রয়-পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত |
৪ |
তারিখ |
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
৩. শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম……………..২০ (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ন্যুনতম পাঁচটি কার্যক্রম) |
||||||||||||||
৩.১ |
|
৪ |
|
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
৩.২ |
|
৪ |
|
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
৩.৩ |
|
৪ |
|
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
৩.৪ |
|
৪ |
|
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
৩.৫ |
|
৪ |
|
|
|
লক্ষ্যমাত্রা |
|
|
|
|
|
|
|
|
অর্জন |
|
|
|
|
|
|||||||||
অর্জন |
|
|
|
|
|
বি:দ্র:- কোন ক্রমিকের কার্যক্রম প্রযোজ্য না হলে তার কারণ মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে হবে।
সংযোজনী ৫: ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা
ক্রম |
কার্যক্রম
|
কর্মসম্পাদন সূচক |
একক
|
কর্মসম্পাদন সূচকের মান |
লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২০২২ |
||
অসাধারণ |
উত্তম |
চলতি মান |
|||||
১০০% |
৮০% |
৬০% |
|||||
০১ |
[১.১] ই-নথির ব্যবহার বৃদ্ধি |
[১.১.১] ই-ফাইলে নোট নিস্পত্তিকৃত |
% |
১৫ |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
০২ |
[২.১] তথ্য বাতায়ন হালনাগাদকরণ |
[২.১.১] তথ্য বাতায়নে সকল সেবা বক্স হালনাগাদকৃত |
হালনাগাদের সংখ্যা |
১০ |
৪ |
৩ |
২ |
[২.১.২] বিভিন্ন প্রকাশনা ও তথ্যাদি তথ্য বাতায়নে প্রকাশিত |
হালনাগাদের সংখ্যা |
৫ |
৪ |
৩ |
২ |
||
০৩ |
[৩.১] ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন |
[৩.১.১] কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজিত |
প্রশিক্ষণের সংখ্যা |
৫ |
৪ |
৩ |
২ |
[৩.১.২] কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা আয়োজিত |
সভার সংখ্যা |
৫ |
৪ |
৩ |
২ |
||
[৩.১.৩] কর্মপরিকল্পনার অর্ধবার্ষিক স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত |
তারিখ |
৫ |
১৩/০১/২০২২ |
২০/০১/২০২২ |
২৭/০১/২০২২ |
||
০৪ |
[৪.১] একটি উদ্ভাবনী ধারণা/ সেবা সহজিকরণ/ ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন |
[৪.১.১] একটি উদ্ভাবনী ধারনা/ সেবা সহজিকরণ/ ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত |
তারিখ |
৫ |
২৮/২/২০২২ |
১৫/০৩/২০২২ |
১৫/০৪/২০২২ |
সংযোজনী ৬: অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২১-২০২২
কার্যক্রমের ক্ষেত্র
|
মান |
কার্যক্রম
|
কর্মসম্পাদন সূচক |
একক
|
কর্মসম্পাদন সূচকের মান |
প্রকৃত অর্জন ২০১৯-২০ |
প্রকৃত অর্জন ২০২০-২১ |
লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২০২২ |
||||
অসাধারণ |
অতি উত্তম |
উত্তম |
চলতি মান |
চলতি মানের নিম্নে |
||||||||
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা
|
৫ |
[১.১] অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা (অনিক) ও আপিল কর্মকর্তার তথ্য ওয়েবসাইটে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে হালনাগাদকরণ |
[১.১.১] অনিক ও আপিল কর্মকর্তার তথ্য হালনাগাদকৃত এবং ওয়েবসাইটে আপলোডকৃত |
হালনাগাদের সংখ্যা
|
৫ |
- |
- |
৪ |
৩ |
- |
- |
- |
পরিবীক্ষণ ও সক্ষমতাবৃদ্ধি
|
২০ |
[২.১] নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইন/ অফলাইনে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং নিষ্পত্তি সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ |
[২.১.১] অভিযোগ নিষ্পত্তিকৃত |
% |
৮
|
- |
- |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
- |
[২.২] কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন |
[২.২.১] প্রশিক্ষণ আয়োজিত |
প্রশিক্ষণের সংখ্যা |
৫
|
- |
- |
৪ |
৩ |
২ |
১ |
- |
||
[২.৩] ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিবীক্ষণ এবং ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ |
[২.৩.১] ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রেরিত |
প্রতিবেদন প্রেরণের সংখ্যা |
৩ |
- |
- |
৪ |
৩ |
২ |
১ |
- |
||
[২.৪] অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা |
[২.৪.১] সভা অনুষ্ঠিত |
সভার সংখ্যা |
৪ |
- |
- |
২ |
১ |
|
- |
- |
সংযোজনী ৭: সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২১-২০২২
কার্যক্রমের ক্ষেত্র
|
মান |
কার্যক্রম
|
কর্মসম্পাদন সূচক |
একক
|
কর্মসম্পাদন সূচকের মান |
প্রকৃত অর্জন ২০১৯-২০ |
প্রকৃত অর্জন ২০২০-২১ |
লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২০২২ |
||||
অসাধারণ |
অতি উত্তম |
উত্তম |
চলতি মান |
চলতি মানের নিম্নে |
||||||||
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
১৪ |
প্রাতিষ্ঠানিক
|
১0 |
[১.১] সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি পরিবীক্ষণ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন |
[১.১.১] সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত |
% |
5 |
- |
- |
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
- |
[১.২] সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে হালনাগাদকরণ |
[১.২.১] ওয়েবসাইটে প্রতি ত্রৈমাসিকে হালনাগাদকৃত |
হালনাগাদের সংখ্যা
|
৫
|
- |
- |
৪ |
৩ |
|
- |
- |
||
সক্ষমতা অর্জন ও পরিবীক্ষণ |
১5 |
[২.১] সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন |
[১.১.১] প্রশিক্ষণ আয়োজিত |
প্রশিক্ষণের সংখ্যা
|
10 |
- |
- |
৪ |
৩ |
২ |
১ |
- |
[২.২] সেবা প্রদান বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজন |
[১.৩.১] অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত |
সভার সংখ্যা |
5 |
- |
- |
২ |
১ |
- |
- |
- |
সংযোজনী ৮: তথ্য অধিকার বিষয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা
তথ্য অধিকার বিষয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা
কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্র
|
মান |
কার্যক্রম
|
কর্মসম্পাদন সূচক |
একক
|
কর্মসম্পাদন সূচকের মান |
প্রকৃত অর্জন ২০১৯-২০ |
প্রকৃত অর্জন ২০২০-২১ |
লক্ষ্যমাত্রা ২০২১-২০২২ |
||||
অসাধারণ |
অতি উত্তম |
উত্তম |
চলতি মান |
চলতি মানের নিম্নে |
||||||||
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
১৩ |
প্রাতিষ্ঠানিক |
১০ |
[১.১] তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান
|
[১.১.১] নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদানকৃত |
% |
১০ |
|
|
১০০% |
৯০% |
৮০% |
৭০% |
৬০% |
সক্ষমতা বৃদ্ধি |
১৫ |
[১.২] স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশযোগ্য তথ্য হালনাগাদ করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ |
[১.2.১] হালনাগাদকৃত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত |
তারিখ
|
০৩ |
|
|
৩১-১২-২০২১ |
১০-০১-২০২২ |
২০-০১-২০২২ |
৩১-০১-২০২২ |
- |
[১.৩] বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ |
[১.3.১] বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত |
তারিখ |
০৩ |
|
|
১৫-১০-২০২১ |
১৫-১১-২০২১ |
১৫-১২-২০২১ |
- |
- |
||
[১.৪] তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা অনুসারে যাবতীয় তথ্যের ক্যাটাগরি ও ক্যাটালগ তৈরি/ হালনাগাদকরণ |
[১.4.১] তথ্যের ক্যাটাগরি ও ক্যাটালগ প্রস্তুতকৃত/হালনাগাদকৃত |
তারিখ |
০৩ |
|
|
৩১-১২-২০২১ |
১০-০১-২০২২ |
২০-০১-২০২২ |
৩১-০১-২০২২ |
- |
||
[১.৫] তথ্য অধিকার আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ |
[১.5.১] প্রচার কার্যক্রম সম্পন্ন |
কার্যক্রমের সংখ্যা |
০৩ |
|
|
৩ |
২ |
১ |
- |
- |
||
[১.৬] তথ্য অধিকার বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আয়োজন |
[১.6.১] প্রশিক্ষণ আয়োজিত |
প্রশিক্ষণের সংখ্যা |
০৩ |
|
|
৩ |
২ |
১ |
- |
- |
পরিশিষ্ট ‘গ’
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনা, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা এবং তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা নির্দেশিকা
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা
প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২১-২২
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন,
বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২১-২২
১। প্রেক্ষাপট:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কৌশলের মূল লক্ষ্য হল শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রণীত কৌশলে শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ এবং কোন সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদণ্ড, প্রথা ও নীতির প্রতি আনুগত্য হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ কৌশলে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব; সুতরাং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে মর্মে উল্লেখ আছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ-বছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার পাশাপাশি আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়/আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কাঠামো প্রণয়ন করে আসছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় সম্পাদিত কাজের বিপরীতে নম্বর প্রদান ও সে আলোকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরেও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় সম্পাদিত কাজের বিপরীতে নম্বর প্রদান ও সে আলোকে মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত এ নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক স্ব স্ব জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও স্ব-মূল্যায়ন করবে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা তা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন শেষে মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
২। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, সেবা প্রদান ও ক্রয়ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার এবং শুদ্ধাচার-সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম শীর্ষক নিম্নবর্ণিত ০৩টি ক্ষেত্রে কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে:
ক্রমিক ১: প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা
১.১ নৈতিকতা কমিটির সভা
নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধির আলোকে সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনসমূহ নৈতিকতা কমিটির সভায় অনুমোদিত হতে হবে বিধায় প্রতি কোয়ার্টারে ন্যূনতম ১টি করে নৈতিকতা কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.১ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করত: ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজনপূর্বক প্রদর্শন করে নৈতিকতা কমিটির সভার কার্যবিবরণী সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে ১টি করে সভা অনুষ্ঠিত হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। কোন ত্রৈমাসিকে সভা আয়োজন করা সম্ভব না হলে পরবর্তী সময়ে সভা আয়োজন করা যাবে। তবে, নির্ধারিত ত্রৈমাসিকের সভা পরবর্তী সময়ে আয়োজন করা হলে প্রতিটি সভার বিলম্বের জন্য ০.২৫ করে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: নৈতিকতা কমিটির সভার কার্যবিবরণী।
১.২ নৈতিকতা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন
নৈতিকতা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার নির্ধারণ করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.২ নম্বর ক্রমিকে উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি কোয়ার্টারে অনুষ্ঠেয় নৈতিকতা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার পৃথকভাবে প্রতি কোয়ার্টারে (৮-১১ কলামসমূহে) উল্লেখ করতে হবে। কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলে তার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে নৈতিকতা কমিটির সভাপতি কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে আয়োজিত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন হবে। উল্লেখ্য, মূল্যায়নের সময় নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধির আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
প্রমাণক: নৈতিকতা কমিটির সভার কার্যবিবরণী ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন।
১.৩ সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের (stakeholders) অংশগ্রহণে সভা
সকল আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা আহ্বান করতে হবে এবং ১.৩ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে এর লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। উল্লেখ্য, অংশীজন (stakeholder) বলতে স্ব স্ব আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে অভ্যন্তরীণ/দাপ্তরিক/নাগরিক সেবা গ্রহণকারী যেকোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান (সরকারি/বেসরকারি), সুশীল সমাজের প্রতিনিধি (আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট) এবং আওতাধীন কার্যালয়সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বুঝাবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: অংশীজনের অংশগ্রহণে সভার কার্যবিবরণী এবং হাজিরা।
১.৪ শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শুদ্ধাচার সংক্রান্ত ন্যূনতম ২ টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.৪ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে। ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা প্রদর্শন করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত ন্যূনতম ২ টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: প্রশিক্ষণের নোটিশ, হাজিরা ও ছবি।
১.৫ কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন (স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ/টিওএন্ডইভুক্ত অকেজো মালামাল বিনষ্টকরণ/পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি ইত্যাদি)
বর্তমানে বিরাজমান নতুন স্বাভাবিক (new normal) পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ স্ব স্ব কার্যালয়ে কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম যেমন: স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ/টিওএন্ডইভুক্ত অকেজো মালামাল বিনষ্টকরণ/পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করবে। কার্যক্রমের সংখ্যা ও সম্পন্ন করার তারিখ নির্ধারণ করে লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। উল্লেখ্য, কর্মপরিকল্পনা প্রেরণের সময় নির্বাচিত কার্যক্রমের নাম, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও প্রমাণক হিসাবে কি সরবরাহ করা হবে তার বিবরণ পৃথক সংযুক্তিতে দিতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহে কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমের সংখ্যা ও কার্যক্রম সম্পন্ন করার তারিখের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: নৈতিকতা কমিটির সভাপতি কর্তৃক সত্যায়িত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট পত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি ও অন্যান্য প্রমাণক।
১.৬ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২ ও ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় দাখিল ও স্ব স্ব ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও পরিবীক্ষণ কাঠামো প্রণয়ণ করে লক্ষ্যমাত্রা ১.৬ নম্বর ক্রমিকের প্রথম কোয়ার্টারে প্রদর্শন করতে হবে। এ কাঠামো প্রণয়ণের প্রকৃত তারিখ অর্জনের কলামে উল্লেখ করে তা স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ করতে হবে। প্রত্যেক কোয়ার্টারে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও পরিবীক্ষণ কাঠামো বাস্তবায়নের তথ্য সংশ্লিষ্ট কোয়ার্টারের প্রকৃত অর্জনের ঘরে উল্লেখ করে কোয়ার্টার সমাপ্তির পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় দাখিল করতে হবে এবং স্ব স্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২ প্রণয়ন করে স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ এবং ওয়েবসাইটে আপলোড করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে কোন নম্বর প্রদান করা হবে না।
প্রমাণক: স্ব স্ব ওয়েবসাইট।
১.৭ শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০১৭ ও এর স্পষ্টীকরণ অনুযায়ী আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে পুরস্কার প্রদান করবে এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এর লক্ষ্যমাত্রা ১.৭ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা প্রদর্শন করতে হবে। উল্লেখ্য, জুন ২০২২ এ পুরস্কার প্রদান করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: ২০২১-২২ অর্থ-বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে না হলে কোন নম্বর প্রদান করা যাবে না।
প্রমাণক: আদেশপত্র ও ওয়েবসাইট।
ক্রমিক ২: ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার
২.১ ২০২১-২২ অর্থ বছরের ক্রয়- পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ
পিপিএ ২০০৬-এর ধারা ১১(২) ও পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ১৬(৬) অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব বাজেটের অধীনে কোন ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান অর্থ বছরের প্রারম্ভে বার্ষিক ক্রয়-পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। উক্ত ক্রয়-পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে ২.১ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা প্রদর্শন করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রারম্ভে বার্ষিক ক্রয়-পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে এবং যথাসময়ে (সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী) হালনাগাদ করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে না হলে প্রতি পাক্ষিকের জন্য ০.২৫ করে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: অফিস আদেশ ও স্ব স্ব ওয়েবসাইট
ক্রমিক ৩: শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ স্ব স্ব কার্যালয়ে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক কার্যক্রমসমূহের মধ্য হতে যেকোন উপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যূন ৫টি কার্যত্রম গ্রহণ করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ৬ নম্বর কলামে ও ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: কার্যক্রম, কর্মসম্পাদন সূচক ও একক যথাযথ হওয়া সাপেক্ষে এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। অন্যথায় কোন নম্বর প্রদান করা যাবে না।
প্রমাণক: ওয়েবসাইট, পত্র, নোটিশ, ছবি, ভিডিও বা কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট যেকোন প্রমাণক।
৩। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২ প্রণয়ন ও ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন সংক্রান্ত সময়সূচি:
সময়সীমা |
বিষয় |
বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ |
ক. জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামো প্রণয়ন |
||
২৫ মার্চ ২০২১ |
নির্দেশিকা অনুসরণ করে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জ্ঞাপন এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা, আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমুহে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জ্ঞাপন |
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
|
১৭ মে ২০২১ |
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার খসড়া স্ব স্ব নৈতিকতা কমিটির অনুমোদন গ্রহণপূর্বক স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ |
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ |
১৪-১৮ জুন ২০২১ |
দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের দাখিলকৃত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার খসড়া পর্যালোচনাপূর্বক ফিডব্যাক প্রদান |
দপ্তর/সংস্থা |
২৫ জুন ২০২১ |
স্ব স্ব নৈতিকতা কমিটির অনুমোদন গ্রহণপূর্বক জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২ চূড়ান্ত করে স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ |
আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ |
খ. জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা পরিবীক্ষণ |
||
১৭ অক্টোবর ২০২১ |
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোতে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ম ত্রৈমাসিক (জুলাই ২০২১ - সেপ্টেম্বর ২০২১) অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ |
স্ব স্ব আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমুহের নৈতিকতা কমিটি |
|
|
|
১৬ জানুয়ারি ২০২২ |
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোতে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২য় ত্রৈমাসিক (অক্টোবর ২০২১ - ডিসেম্বর ২০২১) অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ |
স্ব স্ব আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমুহের নৈতিকতা কমিটি |
১৭ এপ্রিল ২০২২ |
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোতে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩য় ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি ২০২২ - মার্চ ২০২২) অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ |
স্ব স্ব আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমুহের নৈতিকতা কমিটি |
১৭ জুলাই ২০২২
|
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোতে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪র্থ ত্রৈমাসিক (এপ্রিল ২০২২- জুন ২০২২) অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ |
স্ব স্ব আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমুহের নৈতিকতা কমিটি |
৪। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ২০২১-২২ দাখিল প্রক্রিয়া
(ক) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২২ খসড়ার ২ কপি ১৭ মে ২০২১ তারিখ বিকাল ৫:০০ ঘটিকার মধ্যে স্ব স্ব দপ্তর/সংস্থায় প্রেরণ করতে হবে।
(খ) দপ্তর/সংস্থার সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোর চূড়ান্ত কপি ২৫ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে স্ব স্ব ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ের অফিসের
ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২১-২২
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
১.০ প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার
সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন সংহতকরণে জনপ্রশাসনে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন অনুশীলনে, সেবা সহজিকরণ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। দপ্তরসমূহের সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজিকরণ এবং কাজের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে বার্ষিক ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ/বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো সরকারি দপ্তরে উদ্ভাবন, সেবা সহজিকরণ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং এ লক্ষ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি। বার্ষিক ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা/মূল্যায়নের কাজে এ নির্দেশিকা ব্যবহৃত হবে। উল্লেখ্য, নির্দেশিকাটিতে কেবল মূল বিবেচ্য বিষয়সমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা এবং গভীরতা অর্জনের পরিক্রমায় সময়ে সময়ে এ নির্দেশিকাটির পরিমার্জন প্রয়োজন হবে।
২০২১-২২ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা পর্যায় এবং মাঠ পর্যায়ের সরকারি অফিসসমূহে অনুসরণের জন্য পৃথক পৃথক ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। নিম্নে এসকল কর্মপরিকল্পনায় প্রদত্ত সূচক, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে অনুসরণীয় ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার সূচকসমূহের ব্যাখ্যাঃ
[১.১.১] ই-ফাইলে নোট নিষ্পত্তিকৃত
মূল্যায়নঃ বিবেচ্য বছরে একটি অফিসে হার্ড এবং সফ্ট মিলে যতগুলি নোট নিষ্পত্তি হয়েছে তার মোট সংখ্যার মধ্যে যতসংখ্যক ই-ফাইলিং সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে তার শতকরা অনুপাত অর্জন হিসাবে বিবেচিত হবে।
উদাহরণ: ধরা যাক কোন অর্থবছরে একটি অফিসের নিষ্পত্তিকৃত হার্ড নোটের সংখ্যা ১০০ এবং ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তিকৃত নোট সংখ্যা ১৫০। এক বছরে মোট নিষ্পত্তিকৃত নোট সংখ্যা (১০০+১৫০)= ২৫০। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ই-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তিকৃত নোটের সংখ্যা ১৫০টি। ঐ অফিসের অর্জন (১৫০/২৫০)* ১০০% = ৬০%
প্রমাণক: সরকারি দপ্তরের শাখাভিত্তিক উপস্থাপিত ই-নথি এবং হার্ড নথির স্টেটমেন্ট, ফাইল মুভমেন্ট রেজিস্টার ইত্যাদি। এটুআই হতে প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের সঙ্গে ক্রসচেক করা হবে। গরমিলের ক্ষেত্রে এটুআই কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
[২.১.১] তথ্য বাতায়নে সকল সেবা বক্স হালনাগাদকৃত
মূল্যায়ন পদ্ধতি: তথ্য বাতায়নের সকল সেবা বক্স হালনাগাদ করতে হবে। তথ্য বাতায়নের সেবা বক্স হালনাগাদ করার জন্য কর্মপরিকল্পনার ছকে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক সমানুপাতিক হারে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণক: স্ক্রিনশট সহ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন।
২.১.২ বিভিন্ন প্রকাশনা ও তথ্যাদি তথ্য বাতায়নে প্রকাশিত
মূল্যায়ন পদ্ধতি: বিভিন্ন সংকলন ও সম্ভাব্য সকল তথ্যাদি তথ্য বাতায়নে প্রকাশ করতে হবে। তথ্য বাতায়নে বিভিন্ন সংকলনের কপি ও তথ্যাদি প্রকাশ করার জন্য ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার ছকে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক সমানুপাতিক হারে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণক: স্ক্রিনশট সহ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন।
[৩.১.১] কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজিত
মূল্যায়ন পদ্ধতি: ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক ৪টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে। কর্মশালা/সেমিনার/প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার ছকে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক সমানুপাতিক হারে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণক: আয়োজিত কর্মশালা/সেমিনার/প্রশিক্ষণ এর নোটিশ, উপস্থিতি পত্র ও স্থিরচিত্র
[৩.১.২] কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা আয়োজিত
মূল্যায়ন পদ্ধতি: ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ৪টি সভা ত্রৈমাসিকভিত্তিতে আয়োজন করতে হবে। সভা আয়োজনের জন্য কর্মপরিকল্পনার ছকে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক সমানুপাতিক হারে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণক: সভার নোটিশ, উপস্থিতি পত্র এবং কার্যবিবরণী।
[৩.১.৩] কর্মপরিকল্পনার অর্ধবার্ষিক স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত
মূল্যায়ন পদ্ধতি: ই-গভর্ন্যান্স কর্মপরিকল্পনার অর্ধবার্ষিক স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঊর্ধ্বতন অফিসে প্রেরণ করতে হবে। স্ব-মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য কর্মপরিকল্পনার ছকে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক সমানুপাতিক হারে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণক: প্রতিবেদন
[৪.১.১] একটি উদ্ভাবনী ধারনা/ সেবা সহজিকরণ/ ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত
মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ মাঠ পর্যায়ের অফিস কর্তৃক একটি উদ্ভাবনী ধারনা অথবা একটি সেবা সহজিকরণ অথবা একটি ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত করলে নম্বর প্রাপ্ত হবে।
প্রমাণকঃ উদ্ভাবনী ধারনা/ সেবা সহজিকরণ/ ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের অফিস আদেশ।
কর্মপরিকল্পনা পরিবীক্ষণ পদ্ধতিঃ
ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস ত্রৈমাসিকভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে (১৫ জানুয়ারীর মধ্যে) আওতাধীন অফিসসমুহের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং আওতাধীন অফিসসমূহকে ফলাবর্তক প্রদান করবে;
কর্মপরিকল্পনা মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ
অর্থ বছর শেষে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস পূর্ববর্তী অর্থবছরের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার স্বমূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে (প্রতিটি সূচকের বিপরীতে প্রদত্ত নম্বরের বিপরীতে প্রাপ্ত নম্বর, সর্বমোট ৫০ নম্বরের মধ্যে), অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং প্রমাণকসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রমাণকসমূহ যাচাই করে চূড়ান্ত নম্বর প্রদান করবে এবং ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তার নিকট চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন (প্রাপ্ত নম্বরসহ) প্রেরণ করবে;
এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ তে ধার্যকৃত নম্বর (১০) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে (ওয়েটেড স্কোর);
উক্ত নম্বর এপিএ তে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিপরীতে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিসের প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উদাহরণঃ ধরা যাক ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন অফিস চূড়ান্ত মূল্যায়নে ৫০ নম্বরের বিপরীতে ৪০ নম্বর পেয়েছে। এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ সেকশন ৩-এ ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধার্যকৃত নম্বর (১০, ওয়েটেড স্কোর) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে নিম্নরুপেঃ
সর্বমোট নম্বর ৫০ হলে প্রাপ্ত নম্বর ৪০
স ুতরাং সর্বমোট নম্বর ১০ হলে প্রাপ্ত নম্বর= ৪০x১০ =৮
৫০
মাঠ পর্যায়ের অফিসের
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা
বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২১-২২
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
202১-2২ এ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত সূচকের ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া
১.1 সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি পরিবীক্ষণ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন:
পরিবীক্ষণ কমিটি ত্রৈমাসিকভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যালোচনা করবে এবং বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রেরণ করবে। পরিবীক্ষণ কমিটি কর্তৃক ত্রৈমাসিকভিত্তিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নপূর্বক বাস্তবায়ন প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করতে হবে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। অর্জন শতভাগ না হওয়ার ক্ষেত্রে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: ০৪ টি বাস্তবায়ন প্রতিবেদন।
১.২. সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ত্রৈমাসিকভিত্তিতে হালনাগাদ করা:
ত্রৈমাসিকভিত্তিতে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি হালনাগাদপূর্বক হালনাগাদকৃত সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ওয়েবসাইটে আপলোড, প্রদর্শন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে, অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থা/বিভাগীয় কার্যালয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। হালনাগাদকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেবা অধিকতর সহজীকরণ, সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নাম, পদবী, যোগাযোগ নম্বরসহ সকল বিষয় হালনাগাদকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রমাণক: হালনাগাদকৃত সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত অফিস আদেশ/সরকারি পত্র/ওয়েব লিঙ্ক।
২.১ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজিত
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে। সেবা প্রদান সংক্রান্ত আইন-কানুন, বিধি-বিধান, চাকুরি বিধি এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: সেবা প্রদান সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সেবা প্রদান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে ৪টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করা গেলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত এবং পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: প্রশিক্ষনের অফিস আদেশ, আলোচ্যসূচি, প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা, উপস্থিতির হাজিরা।
২.২ সেবা প্রদান বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজন।
অংশীজনের অংশগ্রহণে ২ টি সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। অংশীজন বলতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান/অধিদপ্তর/ দপ্তর/সংস্থা/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ/দাপ্তরিক/নাগরিক সেবা গ্রহণকারী যে কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন/সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ কিংবা তাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বুঝাবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: অংশীজনের অংশগ্রহণে কমপক্ষে ২ টি সভা আয়োজন করা হলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: অংশীজনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী।
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা পরিবীক্ষণ পদ্ধতিঃ
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে (১৫ জানুয়ারীর মধ্যে) আওতাধীন অফিসসমুহের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং আওতাধীন অফিসসমূহকে ফলাবর্তক প্রদান করবে;
সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ
অর্থ বছর শেষে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস পূর্ববর্তী অর্থবছরের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনার স্বমূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে (প্রতিটি সূচকের নম্বরের বিপরীতে প্রাপ্ত নম্বর, সর্বমোট ২৫ নম্বরের মধ্যে), অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং প্রমাণকসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রমাণকসমূহ যাচাই করে চূড়ান্ত নম্বর প্রদান করবে এবং ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তার নিকট চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন (প্রাপ্ত নম্বরসহ) প্রেরণ করবে;
এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ তে ধার্যকৃত নম্বর (৩) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে (ওয়েটেড স্কোর)
উক্ত নম্বর এপিএ তে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিপরীতে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিসের প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উদাহরণঃ ধরা যাক সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন অফিস চূড়ান্ত মূল্যায়নে ২৫ নম্বরের বিপরীতে ২০ নম্বর পেয়েছে। এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ সেকশন ৩-এ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধার্যকৃত নম্বর (৩, ওয়েটেড স্কোর) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে নিম্নরুপেঃ
সর্বমোট নম্বর ২৫ হলে প্রাপ্ত নম্বর ২০
স ুতরাং সর্বমোট নম্বর ৩ হলে প্রাপ্ত নম্বর= ২০x৩ =2.4
25
এই কর্মপরিকল্পনা সকল সরকারী অফিসের জন্য প্রযোজ্য হবে। সরকারি অফিসসমুহ এই কর্মপরিকল্পনা প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করে স্বাক্ষরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাঠ পর্যায়ের অফিসের
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা
বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২১-২২
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
202১-2২ এ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সূচকের ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া
১.১ অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা (অনিক) ও আপীল কর্মকর্তার তথ্য ওয়েবসাইটে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে হালনাগাদকরণ:
অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা (অনিক) এবং আপিল কর্মকর্তা নিয়োগ এবং এ সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে হালনাগাদকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা ও আপীল কর্মকর্তা নিয়োগের তথ্য ওয়েবসাইটে যাচাইকালে হালনাগাদ পাওয়া গেলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: প্রতি ত্রৈমাসিকে ওয়েবসাইট হালনাগাদ সম্পন্নের অফিস আদেশ/সভার কার্যবিবরণী/সরকারি পত্র/ওয়েবলিঙ্ক।
২.১ প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তিকৃত এবং নিষ্পত্তি সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন প্রেরিত:
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৫ (পরিমার্জিত-২০১৮) অনুযায়ী অনলাইন/অফলাইনে প্রাপ্ত অভিযোগ যথাসময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং নিষ্পত্তি প্রতিবেদন নির্দেশিকা অনুযায়ী পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে মন্ত্রণালয়/বিভাগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অধিদপ্তর/বিভাগীয় কার্যালয়/দপ্তর/সংস্থার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের দপ্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়কে বুঝাবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রাপ্ত অভিযোগের ৯০% নিষ্পত্তি করা হলে এবং যথাসময়ে মাসিক প্রতিবেদন (প্রতিমাসে ১টি) প্রেরণ নিশ্চিত করা হলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে এবং নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগের ৬০% এর কম নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।
প্রমাণক: নিষ্পত্তি সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন।
২.২ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জি.আর. এস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজিত:
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে। অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন ও বিধি-বিধান, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, জি.আর.এস. সফটওয়্যার এবং নিজ দপ্তরের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বিষয়ে ৪টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন ও বিধি-বিধান, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, জি.আর.এস. সফটওয়্যার এবং নিজ দপ্তরের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বিষয়ে ৪ টি প্রশিক্ষণ আয়োজন করা গেলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এবং পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: প্রশিক্ষণের অফিস আদেশ, আলোচ্যসূচি, প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা, উপস্থিতি/হাজিরা।
২.৩ ত্রৈমাসিকভিত্তিতে পরিবীক্ষণ এবং ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ:
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিবীক্ষণ করতে হবে। গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে এবং বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। ত্রৈমাসিকভিত্তিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নপূর্বক বাস্তবায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করতে হবে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিক হারে নম্বর কর্তন হবে।
প্রমাণক: ত্রৈমাসিক পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন।
২.৪ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা:
অংশীজনের অংশগ্রহণে ২ টি সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। অংশীজন বলতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান/অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থা/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ/দাপ্তরিক/নাগরিক সেবা গ্রহণকারী যে কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন/সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ কিংবা তাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বুঝাবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতি: অংশীজনের অংশগ্রহণে কমপক্ষে ২ টি সভা আয়োজন করা হলে বর্ণিত সূচকের বিপরীতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: অংশীজনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা পরিবীক্ষণ পদ্ধতিঃ
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস ত্রৈমাসিকভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে (১৫ জানুয়ারীর মধ্যে) আওতাধীন অফিসসমুহের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং আওতাধীন অফিসসমূহকে ফলাবর্তক প্রদান করবে;
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ
অর্থ বছর শেষে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস পূর্ববর্তী অর্থবছরের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনার স্বমূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে (প্রতিটি সূচকের বিপরীতে প্রদত্ত নম্বরের বিপরীতে প্রাপ্ত নম্বর, সর্বমোট ২৫ নম্বরের মধ্যে), অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং প্রমাণকসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রমাণকসমূহ যাচাই করে চূড়ান্ত নম্বর প্রদান করবে এবং ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তার নিকট চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন (প্রাপ্ত নম্বরসহ) প্রেরণ করবে;
এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ-তে ধার্যকৃত নম্বর (৩) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে (ওয়েটেড স্কোর)
উক্ত নম্বর এপিএ-তে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের বিপরীতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিসের প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উদাহরণঃ ধরা যাক অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন অফিস চূড়ান্ত মূল্যায়নে ২৫ নম্বরের বিপরীতে ২০ নম্বর পেয়েছে। এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ সেকশন ৩-এ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধার্যকৃত নম্বর (৪, ওয়েটেড স্কোর) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে নিম্নরুপেঃ
সর্বমোট নম্বর ২৫ হলে প্রাপ্ত নম্বর ২০
স ুতরাং সর্বমোট নম্বর ৪ হলে প্রাপ্ত নম্বর= ২০x৪ =৩.২
25
এই কর্মপরিকল্পনা সকল সরকারি অফিসের জন্য প্রযোজ্য হবে। সরকারি অফিসসমুহ এই কর্মপরিকল্পনা প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করে স্বাক্ষরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাঠ পর্যায়ের অফিসের তথ্য অধিকার বিষয়ে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা
বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২১-২২
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
তথ্য অধিকার বিষয়ে পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২১-২২
সরকারি অফিসসমূহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি শক্তিশালী করার নিমিত্ত এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাস্তবায়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় তথ্য অধিকার বিষয়ে পরিকল্পনায় ০৬ টি কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট কর্মসম্পাদন সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। এসকল সূচকের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের পদ্ধতি নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
কার্যক্রম নং ১.১ তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান
বাস্তবায়ন পদ্ধতিঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুসারে প্রতিটি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাগরিকের আবেদনের ভিত্তিতে তথ্য প্রদান করে থাকেন। প্রতিটি আবেদনের তথ্য সঠিক সময়ে (২০ কার্যদিবস বা অন্য ইউনিট তথ্য প্রদানের সাথে যুক্ত থাকলে ৩০ কার্যদিবস বা তথ্য প্রদানে অপারগ হলে ১০ কার্যদিবসে যথাযথ নিয়মে জানিয়ে দেওয়া ) প্রদান করার বিষয়ে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অফিস কর্তৃক নাগরিকের চাহিত সকল তথ্য (১০০%), তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে, প্রদান করলে কর্মসম্পাদন সূচকের পূর্ণ নম্বর প্রাপ্ত হবে। এক্ষেত্রে, কোন তথ্য উক্ত আইন অনুযায়ী প্রদান করা সম্ভব না হলে বিষয়টি আবেদনকারীকে যথানিয়মে জানানো হলে এক্ষেত্রে তথ্য প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিবেচনা করা হবে।
প্রমাণক: উর্ধ্বতন কার্যালয়ে প্রেরিত প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে উক্ত অফিসে ২০২১-২২ অর্থবছরে কতটি আবেদন পাওয়া গেছে এবং কতটি আবেদনের চাহিত তথ্য, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর বিধান অনুযায়ী প্রদান করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। উর্ধ্বতন কার্যালয় প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত রেজিস্টার যাচাই করে দেখতে পারবে।
কার্যক্রম নং ১.২ স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশযোগ্য তথ্য হালনাগাদ করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ
বাস্তবায়ন পদ্ধতি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশযোগ্য তথ্য হালনাগাদ করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: হালনাগাদকৃত স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশযোগ্য তথ্যসহ ওয়েবসাইটের লিংক।
কার্যক্রম নং ১.৩ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ
বাস্তবায়ন পদ্ধতি: প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে পূর্ণ নম্বর পাবে। যে সব অধস্তন অফিস বা মাঠ পর্যায়ের অফিস বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে না বা যে সমস্ত কার্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সক্ষমতা নাই তারা উর্ধ্বতন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে তথ্য প্রদান করলে বা প্রতিবেদনে তথ্য থাকলে পূর্ণ নম্বর পাবেন।
প্রমাণক: বার্ষিক প্রতিবেদনের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কার্যালয়ের প্রতিবেদন প্রেরণের সরকারি পত্রের কপি)
কার্যক্রম নং ১.৪ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা অনুসারে যাবতীয় তথ্যের ক্যাটাগরী ও ক্যাটালগ তৈরি/ হালনাগাদকরণ:
বাস্তবায়ন পদ্ধতি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্যের ক্যাটাগরী ও ক্যাটালগ প্রস্তুত করলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: অফিসের মাসিক সমন্বয় সভায় এ কার্যক্রমটি সম্পাদনের বর্ণনাসহ উক্ত সভার কার্যবিবরণী।
কার্যক্রম নং ১.৫ তথ্য অধিকার আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ
বাস্তবায়ন পদ্ধতি: জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচার কার্যক্রম হিসেবে সভা, সেমিনার, কর্মশালা কিংবা প্রচারপত্র বিবেচনা করা হবে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রমাণক: সভা, সেমিনার, কর্মশালার অফিস আদেশ কিংবা প্রচারপত্রের কপি।
কার্যক্রম নং ১.৬ তথ্য অধিকার বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আয়োজন
বাস্তবায়ন পদ্ধতিঃ মন্ত্রণালয়/বিভাগ/রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে তথ্য অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মোট সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। মাঠ পর্যায়ের যেসকল অফিসে প্রশিক্ষণ আয়োজনের সক্ষমতা নাই সে সকল অফিসের কর্মকর্তাগণ ঊর্ধ্বতন অফিস কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করলেও অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রমাণক: প্রশিক্ষণ আয়োজনের অফিস আদেশ ।
তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা পরিবীক্ষণ পদ্ধতিঃ
তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে (১৫ জানুয়ারীর মধ্যে) আওতাধীন অফিসসমুহের তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে এবং আওতাধীন অফিসসমূহকে ফলাবর্তক প্রদান করবে;
তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ
অর্থ বছর শেষে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিস পূর্ববর্তী অর্থবছরের তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনার স্বমূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে (প্রতিটি সূচকের বিপরীতে প্রদত্ত নম্বরের বিপরীতে প্রাপ্ত নম্বর, সর্বমোট ২৫ নম্বরের মধ্যে), অফিস প্রধানের অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং প্রমাণকসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন অফিসের নিকট প্রেরণ করবে;
ঊর্ধ্বতন অফিস প্রমাণকসমূহ যাচাই করে চূড়ান্ত নম্বর প্রদান করবে এবং ঊর্ধ্বতন অফিসের এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তার নিকট চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন (প্রাপ্ত নম্বরসহ) প্রেরণ করবে;
এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ তে ধার্যকৃত নম্বর (৩) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে (ওয়েটেড স্কোর)
উক্ত নম্বর এপিএ তে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিপরীতে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নকারী অফিসের প্রাপ্ত নম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
উদাহরণঃ ধরা যাক তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন অফিস চূড়ান্ত মূল্যায়নে ২৫ নম্বরের বিপরীতে ২০ নম্বর পেয়েছে। এপিএ মূল্যায়নকারী কর্মকর্তা উক্ত অফিসের চূড়ান্ত মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরকে এপিএ সেকশন ৩-এ তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধার্যকৃত নম্বর (৩, ওয়েটেড স্কোর) এর বিপরীতে রূপান্তর করবে নিম্নরুপেঃ
সর্বমোট নম্বর ২৫ হলে প্রাপ্ত নম্বর ২০
স ুতরাং সর্বমোট নম্বর ৩ হলে প্রাপ্ত নম্বর= ২০x৩ =2.4
25
এই কর্মপরিকল্পনা সকল সরকারী অফিসের জন্য প্রযোজ্য হবে। সরকারি অফিসসমুহ এই কর্মপরিকল্পনা প্রিন্ট করে এপিএ’র সাথে সংযুক্ত করে স্বাক্ষরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক/বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদন উর্ব্ধতন কার্যালয়ে প্রেরণের ছক
(এপিএএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার করে না এমন কার্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য)
কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র |
ক্ষেত্রের মান |
কার্যক্রম |
সূচক |
সূচকের মান |
লক্ষ্যমাত্রা (অসাধারন) |
একক |
১ম ত্রৈমাসিকে অগ্রগতি |
২য় ত্রৈমাসিকে অগ্রগতি |
অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি (১ম+২য়) |
৩য় ত্রৈমাসিকে অগ্রগতি |
৪র্থ ত্রৈমাসিকে অগ্রগতি |
বার্ষিক চুড়ান্ত অগ্রগতি (১ম+২য়+৩য়+৪র্থ) |
দাবীকৃত নম্বর |
প্রদত্ত প্রমাণক |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সর্বমোট দাবীকৃত নম্বরঃ
25