Contract
চুক্তিনামা
(৩০০/- টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে)
এই চুক্তি ২০২১ সালের ----------------মাসের --------------তারিখ এই দুই পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত হলো।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার --------------উপজেলা, ---------------জেলা (অতঃপর ইউআরডিও নামে অভিহিত হবে, তাঁর পদে যিনিই অধিষ্ঠিত থাকুন অথবা দায়িত্ব পালন করুন না কেন) প্রথম পক্ষ এবং
জনাব--------------------------------------------পিতা/স্বামী-------------------- পেশা--------------------স্থায়ী ঠিকানা; গ্রাম :------------------------------ ডাকঘর----------------------উপজেলা------------------জেলা--------------------(অতঃপর যিনি ‘চুক্তিকারী’ বলে সনাক্ত হবেন, যে চুক্তি তাঁর আইন বিষয়ক প্রতিনিধি অথবা উত্তরাধিকারীদের ক্ষেত্রেও বলবৎ থাকবে) দ্বিতীয় পক্ষ।
যেহেতু দ্বিতীয় পক্ষের আবেদনক্রমে বিআরডিবি’র মাধ্যমে পল্লী উদ্যোক্তা ঋণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম পক্ষ যদি বিবেচনা করেন এবং যোগ্য বলে মনে করেন তবে তাকে (দ্বিতীয় পক্ষ) পল্লী উদ্যোক্তা হিসেবে তালিকাভূক্ত করে ঋণ প্রদান করতে পারবেন। দ্বিতীয় পক্ষ যথাসময়ে ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবেন।
এখন, যেহেতু উভয় পক্ষ অত্র চুক্তিতে সম্মত হন এবং চুক্তিকারীকে (দ্বিতীয় পক্ষ) বিআরডিবি’র মাধ্যমে পল্লী উদ্যোক্তা হিসেবে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে সেহেতু, চুক্তিকারী (দ্বিতীয় পক্ষ) ইউআরডিওকে (প্রথম পক্ষ) নিম্নলিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি প্রদান করছেন :
১) দ্বিতীয় পক্ষের অনুকূলে ................................টাকা ঋণ মঞ্জুর করার প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় পক্ষ ঋণের টাকা আসল ও সেবামূল্য বাবদ.....................................টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করবেন, যাতে ঋণের সমূদয় আসল ও সেবামূল্য সর্বোচ্চ ৬ (ছয় )মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৪ (চব্বিশ) মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে ২য় পক্ষ বাধ্য থাকবে।
২) ঋণ গ্রহীতা- ২য় পক্ষ উক্ত গৃহীত ঋণের টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা স্বরূপ ১ম পক্ষ এর অনুকুলে ... টি আগাম তারিখের চেক প্রদান করবেন যাহা ১ম পক্ষ ঋণের কিস্তি পরিশোধের বিপরীতে সমন্বয় করতে পারবে। আরও প্রকাশ থাকে যে, ২য় পক্ষে আগাম দেওয়া চেক কোন কারণে এনক্যাশ না হলে তজ্জন্য ১ম পক্ষ ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে এনআই এক্ট/প্রচলিত আইনের আওতায় মামলা দায়ের করতে পারবেন। ইহাতে ২য় পক্ষ কোন আপত্তি করতে পারবে না।
৩) যদি কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া পর পর ৩ টি কিস্তি নির্দিষ্ট দেয় তারিখে অপরিশোধিত থাকে তাহলে ঋণের সমূদয় টাকা আসল ও সেবামূল্যসহ অবিলম্বে ফেরৎ চাহিবার নির্দেশনাসহ দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে সমুদয় বকেয়া ঋণের অর্থ আদায়ের জন্য দেওয়ানী/ফৌজদারী মামলা দায়েরসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দ্বিতীয় পক্ষের কোন আপত্তি থাকবে না।
৪) নির্ধারিত সময়ের পূর্বে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে ঋণ পরিশোধের তারিখ পর্যন্ত যে সেবামূল্য প্রাপ্য ছিল তা আসল ঋণসহ আদায় করতে হবে এবং ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত ঋণ নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে পরিশোধের ক্ষেত্রে পরিশোধের তারিখে বকেয়া ঋণের উপর অতিরিক্ত ২%হারে সেবামূল্য ধার্য্য হবে। সমুদয় পাওনা পরিশোধের পর ঋণ গ্রহীতার অবশিষ্ট পোস্ট ডেটেড চেকসমূহ ফেরত দেয়া হবে।
৫) ঋণের মেয়াদ হবে ঋণ বিতরণের তারিখ হতে দুই বছর (২৪ মাস)। এ সময়ের মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড ব্যতীত মাসিক ১৮টি কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে এ ঋণ প্রদান করা হবে। সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাস গ্রেস পিরিয়ড থাকবে অর্থাৎ ঋণ বিতরণের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ২ (দুই) বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে ২য় পক্ষ বাধ্য থাকবে।
৬) নির্ধারিত দুই বছর (২৪ মাস) সময়ের জন্য এই ঋণের সেবামূল্য ফ্ল্যাট রেট পদ্ধতিতে বার্ষিক ৪% হারে প্রযোজ্য হবে। তবে ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত দুই বছর (২৪ মাস) সময়কাল অতিক্রান্ত হলে বকেয়া সমুদয় ঋণ (যদি থাকে) খেলাপি হিসেবে গণ্য হবে এবং এই মেয়াদোত্তীর্ণ খেলাপি ঋণের উপর প্রতি বছর ফ্লাট রেটে বার্ষিক ১১% হারে সেবামূল্য ধার্য্য হবে।
৭) দ্বিতীয় পক্ষ নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসতে থাকা অবস্থায় কোন কারণে ঋণের কিস্তি খেলাপী হলে এবং তার জমাকৃত সঞ্চয় যথেষ্ট বিবেচিত হলে দ্বিতীয় পক্ষের সঞ্চয় হতে খেলাপী ঋণ সমন্বয় করতে পারবেন।
৮) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত ঋণের বিপরীতে ২য় পক্ষ তাঁর গৃহীত ঋণের অংকের মাত্রানুযায়ী ২য় পক্ষের স্বত্বাধীন স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে বাধ্য থাকবেন (প্রস্তাবিত বন্ধকী সম্পত্তি দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক অন্য কোথাও হস্তান্তর/দায় বন্ধক প্রদান করা হয়নি) এবং ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা পর্যন্ত ১ম পক্ষের নিকট গচ্ছিত থাকবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এই বন্ধক সম্পর্কিত অনুচ্ছেদটি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে )।
৯) ঋণের অর্থ বিজনেস প্ল্যান মোতাবেক নির্ধারিত এসএমই খাতে বিনিয়োগ করতে দ্বিতীয় পক্ষ বাধ্য থাকবেন।
১০) ঋণ গ্রহণের পর দ্বিতীয় পক্ষের অবর্তমানে (মৃত্যু জনিত কারণে) ঋণের অর্থ দ্বিতীয় পক্ষের উত্তরাধিকারী বা ওয়ারিশগণ এর উপর সরাসরি বর্তাবে এবং যা পরিশোধের অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ১ম পক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
১১) এই চুক্তিনামার কোন শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম পক্ষ কর্তৃক সামাজিক ও আইনানুগ সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
১২) অত্র চুক্তিপত্রের কোন শর্ত সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তি অথবা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হলে তা প্রথম পক্ষের গোচরীভূত করতে হবে এবং প্রথম পক্ষের সিদ্ধান্ত এই ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। চুক্তিকারী নিম্নলিখিত সাক্ষীদের সম্মুখে স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর করতঃ চুক্তি সম্পাদন করলেনঃ
স্বাক্ষর দ্বিতীয় পক্ষ |
|
স্বাক্ষর ও সীল প্রথম পক্ষ |
নাম :
পিতা/ স্বামীর নাম :
সমিতি/দলের নাম :
গ্রাম :
উপজেলা :
জেলা :
স্বাক্ষীগণের নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর
স্বাক্ষীর নাম ও ঠিকানা |
ঋণ গ্রহীতার সাথে সম্পর্ক |
স্বাক্ষর |
১। নাম: পিতা/স্বামীর নাম : গ্রাম: ................., ডাকঘর: ................. উপজেলা: .................., জেলা ................। |
|
|
২। নাম: পিতা/স্বামীর নাম : গ্রাম: ................., ডাকঘর: ................. উপজেলা: .................., জেলা ................। |
|
|
৩। নাম: পিতা/স্বামীর নাম : গ্রাম: ................., ডাকঘর: ................. উপজেলা: .................., জেলা ................। |
|
|
বি: দ্র : স্বাক্ষী: (xx xxxxxxxx পিতা/স্বামী/স্ত্রী, দলের সভাপতি ও সেক্রেটারীর স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর নিতে হবে)